আরফিনুল ইসলাম, নীলফামারী
নীলফামারীতে কিশোরকন্ঠ পাঠক ফোরাম এর উদ্যোগে ‘কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলার ০৬টি কেন্দ্রে এই মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন নীলফামারী সদরের বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর ৫ হাজার ২৯৮ জন শিক্ষার্থী। সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।
নীলফামারীতে এই প্রথম কিশোর কন্ঠের মেধাবৃত্তি পরীক্ষার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ এবং কিশোরকন্ঠ পাঠক ফোরামের প্রসংশা করে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য এধরণের আয়োজন বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগী হবে।
জানা যায়, এ পরীক্ষায় ৪র্থ থেকে ১০ম শ্রেণির পর্যন্ত বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে সর্বমোট ২০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেধা বৃত্তির পরীক্ষার ফলাফল আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কিশোরকন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ভালো লাগছে। পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দাবি করে বলেন, কিশোর কন্ঠ ফোরাম যেন প্রত্যেক বছর এরকম উদ্যোগ গ্রহন করেন।
মেধাবৃত্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলার চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, নীলফামারীর শহরের পরিচালক হাসান জামিল, সাবেক পরিচালক তৌহিদুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, মোসলেহুদ্দীন শাহ্, দেলোয়ার হোসেন, নুর ইসলামসহ অনেকে।
কেন্দ্র পরিদর্শকেরা বলেন, বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোনা রয়েছে। স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা কিশোরকন্ঠকে দাড় করিয়েছি। কুরআন ও হাদিসের দারস, ছড়া, কবিতা, ছোটদের গল্প, বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনা, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয় সম্বলিত এটা একটি মাসিক পত্রিকা।
উল্লেখ্য, কিশোর কন্ঠ পাঠক ফোরাম এর কতৃপক্ষ বলেন, সকল ধর্মের বিষয়টি মাথায় রেখে এটি সাজানো হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকে সৎ, যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে এই কিশোরকন্ঠ ভূমিকা রাখছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?