আক্কাছ আলী টঙ্গীবাড়ি মুন্সীগঞ্জ (প্রতিনিধি) :
পুরোদমে শীত শুরুর আগেই মুন্সীগঞ্জে আগাম আলু চাষের হিড়িক পড়ে গেছে। লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্সীগঞ্জে ৬টি উপজেলায় এখনো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়নি। তবে সদ্য ফাঁকা হওয়া জমিগুলোতে আগাম আলু চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা।
তাছাড়া গত দুই বছর ধরেই আলুর দামে হাসছেন কৃষক। সারা বছর ধরেই ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা আলু চাষে মুখিয়ে আছেন।
এজন্য গতবারের মতো এবারও আগাম আলু চাষে নেমেছেন তারা। তাছাড়া আগাম আলু চাষে লাভ বেশি হয়।বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর নভেম্বরের শুরু থেকেই জমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে কৃষকরা এখন আলু আবাদে নেমে পড়েছেন। এখন আলু চাষে যুক্ত হতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুরুষ ও নারী শ্রমিকের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামাঞ্চলে।কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৭৩ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমি।
এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ টন।যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টন। হিসেব মতে চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমির জন্য ৬৯ হাজার ৩১০ টন আলুর বীজ প্রয়োজন। বর্তমানে জেলার হিমাগারগুলোতে বীজ আলু মজুদ রয়েছে প্রায় ৬৪ হাজার ৫১৬ টন।তবে বীজ আলুর সংকটের আশঙ্কায় কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। বীজ সংকট হবে শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
বীজের দাম বাড়ায় উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আলু রোপণ করে লাভের আশায় নতুন স্বপ্ন বুনছে কৃষকরা। আলুর বাম্পার ফলন করেই লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় হাসাইল, কামাখারা ,সদর উপজেলা শিলই,আধারা, চরকেওয়ার,বাংলাবাজার, মহাকালিসহ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে আলু রোপণ কাজে কৃষকের ব্যস্ততার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
বাড়ির আঙিনায় কৃষকদের সহযোগিতায় বাড়ির গৃহিণীরাও নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন।টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের বেহেরপাড়া গ্রামের আলু চাষী মোঃ আব্বাছ খালাসী “এ বছর ১০ কানি জমিতে আলু চাষ করছি। কৃষক থেকে সহযোগিতা নামের বীজ আলু এক বস্তা কিনেছি ৩/৪ হাজার টাকা দরে। বীজের দাম অনেক বেশি। সার সংকট না থাকলেও দাম বেশি মনে হচ্ছে।
আগে ভাগেই আলু রোপণ শুরু করেছি।মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, “এ মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখিত জমিতে আলু রোপণ হলে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ টন আলু উৎপাদিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।