মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে মাদক, মূল হুতারা ধরাছুঁয়ার বাইরে

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে এখন দেদারছে মাদক পাচার হচ্ছে। বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। মাঝেমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চালান র‌্যাব ও যৌথবাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও এটি বৃহৎ চালানের ক্ষুদ্র একটা অংশ বলে দাবী করছেন সচেতন মহল। গেল দেড় মাসে যৌথবাহিনী, বিজিবি র‌্যাব ও পুলিশের হাতে আটক হয় ১৮জন পাচারকারী। এসময় উদ্ধার হয় ১৯২ বোতল […]

নিউজ ডেস্ক

১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০৭

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃ

মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে এখন দেদারছে মাদক পাচার হচ্ছে। বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। মাঝেমধ্যে বেশ কয়েকটি বড় চালান র‌্যাব ও যৌথবাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও এটি বৃহৎ চালানের ক্ষুদ্র একটা অংশ বলে দাবী করছেন সচেতন মহল। গেল দেড় মাসে যৌথবাহিনী, বিজিবি র‌্যাব ও পুলিশের হাতে আটক হয় ১৮জন পাচারকারী। এসময় উদ্ধার হয় ১৯২ বোতল ফেনসিডিল, ৯৩ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির ২লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

সীমান্ত দিয়ে কিভাবে মাদক পাচার হয়ে আসছে সেটি এখন বেশ আলোচনায়। তবে প্রশাসন বলছে-
মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সাথে কোন আপোষ নেই। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মেহেরপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে। তবে গাংনী এলাকায় পাচার হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে গাঁজা ও
ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে দেদারছে। নারী পুরুষ যেন কোমর বেঁধে নেমেছে পাচার কাজে।

 

৭ নভেম্বর যৌথবাহিনী গাংনীর ভোমরদহ ও ভাটপাড়া কলোনীতে পৃথক অভিযানে দুই নারীসহ চার মাদক পাচারকারীকে আটক যৌথবাহিনী। উদ্ধার করা হয় ২২ কেজি গাঁজা, ১৭ বোতল ফেনসিডিল। জব্দ করা হয় মাদক বিক্রির ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। আটককৃতরা হচ্ছে- কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত গ্রামের তিলকজান ও মুন্সিগঞ্জ গ্রামের কহিনুর বেগম এবং ভ্যান চালক ইন্তাদুল ও জয়নাল আবেদীন।

একই দিন সন্ধ্যারাতে গাংনী উপজেলার বামন্দী বাজার থেকে মিলন সাহা নামের একজনকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করেছে বামন্দী ক্যাম্প পুলিশ। ০৫ নভেম্বর গাংনীর তেতুঁলবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তৌফিক মোল্লা (২৭) নামের এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে র‌্যাব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা। ১ নভেম্বর গাড়াবাড়িয়া থেকে ৫ কেজি গাঁজাসহ শামীম ওরফে রাজু ও মোমিনুলকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ। ৩১ অক্টৈাবর কুয়াকাটাগামী যাত্রিবাহি বাসে অভিযান  চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।

 

২৬ অক্টোবর সকালে গাংনী র‌্যাব ক্যাম্পের একটি টিম বালিয়াঘাট থেকে এখলাচ মিয়াকে ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। ১৯ অক্টোবর মুজিবনগরে বল্লভপুরে ১১ কেজি গাঁজাসহ দিপককে আটক করেছে বিজিবি। ১৮ অক্টোবর কাথুলি থেকে ২ কেজি গাজাসহ লিখন নামের এক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ। ১৩ অক্টৈাবর গাংনী শহর থেকে ২ কেজি গাজাসহ ইন্তাজুল ও আনোয়ার আটক করেছে র‌্যাব। ৮ অক্টোবর সাহারবাটি বাজার থেকে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাজাসহ শরিফুল নামের এক পাচারকারীকে আটক করে।

৩ অক্টোবর সদর উপজেলার কলোনীপাড়া থেকে ৪ কেজি গাজাসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয় লালচাদ । ২৭ সেপ্টেম্বর ৩৬ কেজি গাজাসহ রাকিব নামের এক পাচারকারী তার নিজবাড়ি ধলা থেকে আটক করে র‌্যাব। সীমান্তের ওপার থেকে পাচার করে আনা এ গাঁজার চালানটি পাচারের জন্য রেখেছিল রাকিব। ২০ সেপ্টেম্বর তেরাইল থেকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ এরশাদ আলী ও আবুল কালাম আজাদকে আটক করে
যৌথ বাহিনী। আবুল কালাম আজাদ এলাকার চিহ্নিত মাদক পাচারকারী।

একাধিক মাদক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় নগদ টাকা দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে মাদক কিনে আনতেন। বর্তমানে স্বর্ণের বার ওপারে পাচারের বদলে এপারে আসে মাদক। মাদকের ব্যবসা হচ্ছে তিনটি ধাপে। একটি দল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মাদক নিয়ে আসে। তারা পৌঁছে দেয় এজেন্টদের কাছে। এজেন্টরা বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে এসব মাদক বিক্রি করায়। দরিদ্র পরিবারের নারী ও শিশুদের মাদক বিক্রি, পরিবহন ও খুচরা বিক্রির কাজে ব্যবহার করছেন নেপথ্যে নায়করা। তারা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

মাদক পাচারের ব্যাপারেও পাওয়া গেছে বিচিত্র সব তথ্য। পাচারকারীরা জানায়, সীমান্তের এপার থেকে কাঁটাতারের ওপারে স্বর্ণের বার কিংবা অন্যান্য মালামাল নিক্ষেপ করা হয়। বিনিময়ে টেপ দিয়ে মোড়ানো মাদক এপারে ফেলে দেওয়া হয়। সেগুলো সুযোগ বুঝে সংগ্রহ করে সীমান্তের কাছাকাছি কোন বাড়িতে মজুদ করা হয়। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ি বিভিন্ন মাধ্যমে ছোট ছোট করে মাদক বড় শহরগুলোতে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের নজর এড়াতে বোরকা পরিহিত নারী ও শিশুদেরকে ব্যবহার করা হয় অনেকাংশে। এদিকে মাদকদ্রব্য সজহলভ্যতার কারণে বেড়েছে মাদক সেবীর সংখ্যা। এদের একটা অংশ উঠতি বয়সী নারী পুরুষ। মাদক বিরোধি অভিযানে এরাই মূলতঃ আটক হয় বলে দাবী করা হয়েছে সচেতন মহল ও প্রশাসনের কয়েকজন।

পরোকীয়া প্রেম বিরহ বিচ্ছেদ,উচ্চাভিলাসী জিবন যাপনের প্রত্যয়, দেখা দেখি ও পারিবারিক নানা সমস্যার কারণে অনেকেই মাদকাসক্ত হচ্ছেন। নারীদের মাদকাসক্তের বিষয়টি সামনে আসেনা কেননা, তারা অতি গোপনে বিভিন্ন চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নেন। অনেকে লোক লজ্জ্বার ভয়ে মুখ খোলেনা।

জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরীন আকতার জানান, মাদক নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হয়; মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট নেপথ্য নায়কদের আটক করা সম্ভব হয় না। এসব ঘটনায় শুধু মাদক বহনকারী ইজিবাইক চালক, কিশোর-তরুণ, বেকার যুবকসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ ধরা পড়ে। এর বাইরে বিভিন্ন সময় মাদকসেবীদের আটক করা হয়। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামলা দিলে সেটি তদন্ত করে পুলিশ। তবে মাদক পাচারের মূল হোতাদের খুঁজে বের করতে পারে না তারা। ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহাবুব মুর্শেদ রহমান জানান, মাদক নিমূর্লে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্তে টহল
রয়েছে।

মাদক নির্মূলে বিএসএফের সাথেও বৈঠক করা হয়। পাচারকারীদের আটকের পাশাপাশি যারা মাদকের সাথে জড়িত তাদেরকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। অভিযানের বিষয় পুলিশের সাথে অসহযোগিতার ব্যাপারে তিনি আরো জানান, সীমান্ত এলাকায় অভিযানে যে কোন বাহিনী যাক না কেন বিজিবিকে অবহিত করা জরুরী। যেহেতু সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত। তার পরও কোন বাহিনীর সাথে ভুল বুঝাবুঝি হউক সেটা বিজিবি চায় না। সব বাহিনী মিলে মাদক নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই কর্মকর্তা।

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।