মেহেদী হাসান মেহের বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এই প্রথম ২ যুবকের প্রাণহানি, আজ রাত আনুমানিক ১:৪০ মিনিটের দিক চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তে চট্টমেট্রো-ল ১৭-৪৩১৮ বাইক দূ’র্ঘ’ট’না। ঘটনাস্থলে বাইকে থাকা ২ জন নি’হ’ত তৎক্ষণাৎ। অ্যাপাচি বাইক নিয়ে তুমুল রেস একটু পরেই মিলল দুজনের নিথর দেহ।
শুক্রবার মধ্যরাতে এক বন্ধুসহ প্রাইভেট কার যোগে নেভাল থেকে নব নির্মিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাসেল। পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে ইপিজেড থানা এলাকায় পৌঁছে দেখেন, দুটো বাইক রেস করে ১২০-১৩০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে তাদের গাড়ি ওভারটেক করছে। দুটো বাইকের একটি টিবিএস অ্যাপাচি, অন্যটির চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল ক্ষমতার এই বাইক।
তাদের রেস দেখে রাসেল সঙ্গে থাকা বন্ধুকে বললেন, ‘দেখ, ইতে কী বাইক নিয়ে স্পিডিং করতেছে, একটা দুর্ঘটনা ঘটাবে।’ এর আগে প্রাইভেট কারকে ওভারটেক করার সময় বাইকদুটির মধ্যে পিছিয়ে থাকা বাইকের আরোহীকে চালকের উদ্দেশ্যে বলতে শুনেন, ‘ইতারা আঁরারে ফেলাই যারগোই, আরও জোরে টান।’ এর কয়েক সেকেন্ড পরে একটি মোড় ঘুরতে গিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিরাপত্তা দেয়ালে ধাক্কা দেয় বাইকটি।
ছিটকে সড়কবাতির পাশে আটকে যান একজন, আরেকজন পড়েন কয়েক হাত দূরে, বাইক প্রায় ১০-১২ হাত দূরে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন। ততক্ষণে বাইক নিয়ে শূন্যে মিলিয়ে যান অন্য বাইকের প্রতিযোগী। নিহতদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। লাশ পুলিশের হেফাজতে আছে।
বিপজ্জনক রেসিংয়ে আপনার গতি আলোর চেয়েও বেড়ে যাবে, যা কিনা কয়েক মুহূর্তে আপনাকে অনন্তে পৌঁছে দিতে পারে।