জুয়েল রানা,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
রৌমারীতে স্বামী- স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী ফরিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা।
৬ জুলাই রবিবার সকালে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রৌমারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয়।তার নিজ বাড়িতে এঘটনা ঘটেছে। তিনি রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ী কান্দাপাড়া গ্রামের শহর আলীর পুত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ফরিদুল ইসলাম চাক্তাবাড়ী বাজারে একজন কীটনাশক ব্যবসায়ী। গত ৬ বছর আগে উপজেলার বামনের চর গ্রামের গফুর বাদশার কন্যা বানেছা খাতুনের (২১) সাথে চাক্তাবাড়ি এলাকার কান্দাপাড়া গ্রামের শহর আলীর ছেলে প্রবাসি ফরিদুলের সাথে পারিবারিক ভাবেই বিবাহ বন্ধন হয়। বিবাহের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই আসছিল।
অন্যদিনের মত আজ রবিবার সকালেও তাদের মধ্যে কলহের এক পর্যায়ে চাক্তাবাড়ি মোড়স্থ তার নিজ কিটনাশকের দোকান থেকে বিষ এনে বাড়িতেই পান করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরে বিষ খাওয়ার ঘটনাটি সাথে সাথে পরিবারের লোকজন জানতে পারলে ফরিদুলকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে র্ভতি করা হয়।
স্ত্রী বানেছা খাতুন বলেন, বিবাহের পর থেকেই আমাদের মাঝে পারিবারিক ঘটনা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ এবং মারপিট করে আসতো। আজ রবিবার সকালে পুর্বের ন্যায় কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে মারপিট করে পরে চাক্তাবাড়ি মোড়ে নিজ দোকান থেকে বিষ এনে গোপনে পান করে।
পরে জানাজানি হলে মাটিতে লুটিয়ে থাকা স্বামী ফরিদুলকে উদ্ধার করে রৌমারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ওয়াশ করা হয়েছে। মোটামুটিভাবে সুস্থ্য রয়েছে।
এবিষয়ে ফরিদুলের বড়ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যবসার কাজে বাহিরে ছিলাম। হঠাৎ করে বাড়ি থেকে ফোন আসে ফরিদুল বিষপান করে মাটিতে লুটিয়ে আছে।
তারাতারি বাড়িতে এসে তাকে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ২বালটি পানি দিয়ে ওয়াশ করার পর বর্তমানে একটু সুস্থ্য রয়েছে।
এবিষয়ে ডিউটিরত চিকিৎসক অলোক কুমার বলেন, ফরিদুল ইসলাম অনেক বেশী পরিমানে বিষপান করেছিল। দেড়ঘন্টা ব্যাপী স্টোমাক ওয়াশ করার পর সাভাবিকে এসেছে।
তবে ২ থেকে ৩ দিনের আগে বিষপানের রোগী সুস্থ্য হওয়ার কথা বলা যাবে না। বর্তমানে তাকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
অফিসার ইনচার্জ রৌমারী থানা লুৎফর রহমান বলেন, এমন বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার কোন অভিযোগ পাই নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।