নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
যৌথ বাহিনীর অভিযানে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদ এর দোকান নাহার এন্টারপ্রাইজ থেকে ৩০৪ বস্তা সরকারী চাল করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে কেন্দুয়া পৌরসভার মদন-কেন্দুয়া সড়কের বাদে আঠারবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার দোকান থেকে এসব সরকারী চাল জব্দ করেন।
পরে উপজেলা প্রশাসনের কাছে চালের বস্তা গুলো হস্তান্তর করা হয়। তবে খোকন আহমেদকে দোকানে না পাওয়ায় আটক করতে পারে নি যৌথবাহিনী।
খোকন আহমেদ উপজেলার পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি। একই সাথে তিনি পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ী ব্লকের ওএমএস কর্মসূচির পরিবেশক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যৌথবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, নাহার এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকার খোকন আহমেদ পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ী ব্লকের ওএমএস কর্মসূচির পরিবেশক। এছাড়াও তিনি বাদে আঠারবাড়ি এলাকা খুচরা ও পাইকারী চাল বিক্রয়ের ব্যবসাও করেন।
শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী ওই এলাকায় খোকনের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় যৌথবাহিনী তার দোকানে ৩০৪ বস্তা (১৩ হাজার ৫১৫কেজি) সরকারী চাল পায়।
যৌথবাহিনী এসব চাল উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করে কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে শনিবার এ প্রতিবেদন লিখার আগ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জব্দকৃত চালগুলো ছিল ডিলার রেশন (ডি.আর) কর্মসূচির আওতাভুক্ত। যা বিধি লঙ্ঘন করে একত্রে মজুদ রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন মিয়া মোবাইল ফোনে কয়েক দফা কল করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, যৌথবাহিনী অভিযান করে কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন আহমেদের গুদাম থেকে সরকারী চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
উপজেলা প্রশাসন এগুলি যাচাই বাছাই করে সঠিক কাগজপত্র থাকলে তাকে ফেরত দিবে। তবে চাল অবৈধ হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারটি তিনি এড়িয়ে যান।
মদন সেনা বাহিনীর ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার কেন্দুয়া পৌর বিএনপির সভাপতি খোকন মিয়ার দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৩০৪ বস্তা সরকারী চাল পাওয়া যায়।
এসময় জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে খোকন মিয়াকে না পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা যায় নি।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারকে একাধিকবার কল করা হলে ফোন রিসিভ করেন নি।
তবে কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জব্দকৃত চালগুলো ছিল ডিলার রেশন (ডি.আর) কর্মসূচির আওতাভুক্ত। যা বিধি লঙ্ঘন করে একত্রে মজুদ রাখা হয়েছিল বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে ৩০৪ বস্তা সরকারী চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তবে ইউএনও মহোদয় যাচাই বাছাই করে দেখবেন। অবৈধ চাল হলে উপজেলা প্রশাসন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।