জিয়াউর রহমান,পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে ধর্ষণ মামলায় স্বাক্ষী দেওয়ায় জামায়াত নেতা মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ রোববার (১৩ জুন ২০২৫) সকাল ১১টায় উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের নুরানী মাদ্রাসার সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আঃ ছত্তার হাওলাদার, সাক্ষী জসিম উদ্দিন, সরোয়ার হাওলাদার, শিক্ষক জাকির হাওলাদার, আউয়াল হাওলাদার, নাসিমা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামের রেজিয়া বেগমকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জামায়াত নেতা নাসির উদ্দিন খুলনা নিয়ে যান। সেখানে একটি ভাড়া বাসায় রেজিয়া বেগমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন নাসির উদ্দিন।
ঘটনার পরদিন রেজিয়া বেগম খালিশপুর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। পাঁচ দিন পর তিনি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, এই মামলায় আটজন সাক্ষীকে আসামি নাসির উদ্দিন মানব পাচারসহ বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
নাসির উদ্দিনের অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছেন এবং তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় ইন্দুরকানী উপজেলা জামায়াত নেতারা তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন বলেও জানা যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার মানসম্মান নষ্ট করার জন্য শত্রুপক্ষ মানববন্ধন করেছে।” তিনি আরও জানান, “গত রবিবার অতর্কিতভাবে জসিম, রাজু, বাচ্চু ও জাকির মাস্টার সহ আমার উপরে হামলা চালায়।
সেই হামলার দায় এড়ানোর জন্য আমি যেন আইনি পদক্ষেপ না নিতে পারি, সেই বিকল্প পথ হিসেবে এটা (মানববন্ধন) বেছে নিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
এ ঘটনায় উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আলী হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন বলেন, নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের কথা তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।