বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

সিরাজগঞ্জে বাসের হেলপার থেকে কোটি টাকার মালিক ইউপি চেয়ারম্যান

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই বারের চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম। ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের প্রভাব বিস্তার করে অল্প সময়ের ব্যবধানে ছিটকে চোর থেকে কিভাবে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, প্রভাব-পতিপত্তি, কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার সেই সাম্রাজ্য এখন দখলে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। জানা যায়, কিশোর বয়সেই নিষিদ্ধ চরমপন্থি […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৫

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই বারের চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম। ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের প্রভাব বিস্তার করে অল্প সময়ের ব্যবধানে ছিটকে চোর থেকে কিভাবে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, প্রভাব-পতিপত্তি, কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

তার সেই সাম্রাজ্য এখন দখলে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

জানা যায়, কিশোর বয়সেই নিষিদ্ধ চরমপন্থি দলের সঙ্গে দরিদ্র নবীদুলের সখ্যতা গড়ে উঠে। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আহ্বানে অন্ধকার জগৎ ছেড়ে তার পুরো বাহিনী নিয়ে নবীদুলও ভালো হওয়ার পণ করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে সয়দাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন খুন হন।

নবীদুল ছিলেন ওই খুনের মামলার প্রধান আসামি। কিন্তু সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে সকল আসামি ওই মামলা থেকে খালাস পান। পরে ২০০৪ সালে বিএনপি সমর্থক নবীদুল যোগ দেন আওয়ামী লীগে। পদ পান ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের। সেই সঙ্গে চালিয়ে যেতেন ছিটকে চুরি ও ছোটখাটো অপরাধ।

এলাকাবাসী জানান, ২০০৭ সাল পর্যন্ত সে বাসে হেলপারি করেছে। ভেতরে ভেতরে নিজের অবস্থান শক্ত করতে থাকেন নবীদুল। ২০১০ সালে সয়দাবাদের মূলিবাড়িতে খালেদা জিয়ার জনসভাস্থলে ট্রেন পোড়ানোর ঘটনার পর নবীদুলের ভাগ্য খুলতে থাকে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা থেকে বাঁচাতে এবং মামলায় ফাঁসাতে বিএনপি সমর্থিত কারিগর ও প্রামানিক সম্প্রদায়ের তালিকা করে বিশাল অর্থ বাণিজ্য করেছেন নবীদুল।

সেই সঙ্গে চালিয়ে যেতেন ছিটকে চুরি ও ছোটখাটো অপরাধ।

এলাকাবাসী জানান, ২০০৭ সাল পর্যন্ত সে বাসে হেলপারি করেছে। ভেতরে ভেতরে নিজের অবস্থান শক্ত করতে থাকেন নবীদুল। ২০১০ সালে সয়দাবাদের মূলিবাড়িতে খালেদা জিয়ার জনসভাস্থলে ট্রেন পোড়ানোর ঘটনার পর নবীদুলের ভাগ্য খুলতে থাকে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা থেকে বাঁচাতে এবং মামলায় ফাঁসাতে বিএনপি সমর্থিত কারিগর ও প্রামানিক সম্প্রদায়ের তালিকা করে বিশাল অর্থ বাণিজ্য করেছেন নবীদুল।

অভিযোগ রয়েছে, পূর্বমোহনপুর চর থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রির কমিশন নিতেন তিনি। এছাড়াও পঞ্চসোনা ও গাছাবাড়ির বালুমহালও চলতো তার ইশারায়। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের জায়গায় মহাসড়কের মুলবাড়ির এলাকায় তার নেতৃত্বে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল ট্রাক লোড-আনলোড পয়েন্ট। এছাড়া আড়ারে চালাতেন মাদকের ব্যবসা। ২০১৫ সালে সদর থানা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক বাঔতারার সাইফুল ইসলাম খুন হয়।

সে মামলা থেকে বাঁচাতে বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের কাছ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন নবীদুল। একই বছরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পান তিনি। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন নবীদুল। ২০১৮ সালে আবারও সাধারণ সম্পাদক হন তিনি।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে. এম হোসেন আলী হাসানের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। এসব পোষ্ট-পদবি ও প্রভাব খাটিয়ে নবীদুল ২০টি ট্রাক কিনেছিলেন। প্রায় ৪০ লাখ টাকায় কেনা মাইক্রোবাসে ঘোরাফেরা করতেন। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিক নিয়োগ, প্রতিষ্ঠানটির পুরাতন মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের টেন্ডার, শিল্পপার্ক ও ইকোনমিক জোনে মাটি ভরাটসহ এলাকার সকল ঠিকাদারি কাজই ছিল তারই নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় অন্য কেউ ব্যবসা করতে চাইলে নবীদুলকে কমিশন দিতে হতো, নয়তো অংশীদার বানাতে হতো। মহাসড়কের পাশে মূলিবাড়ি এলাকায় ক্রয়কৃত সাড়ে ৪ শতক জায়গায় নির্মাণ করেছেন বিলাসবহুল ৫ তলা ভবন। পৈত্রিক ভিটায় রয়েছে ২ তলা বিশিষ্ট আরেকটি ভবন। নিজ গ্রাম মুলিবাড়ি, পূর্ব মোহনপুর, পঞ্চসোনা, জগতলা এলাকায় বেশ কিছু কৃষি-অকৃষি জমি থাকার কথা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

২০২০ সালে তার অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে অনুসন্ধানে দুদকও সেই সময় তৎপর হয়। কিন্তু অদৃশ্য ইশারায় ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যান নবীদুল। দলের ভেতরে বাইরে ব্যাপক সমালোচনা থাকার পরও ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় আবারও চেয়ারম্যান হন। শোনা যায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম কামালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণেই মনোনয়ন বাগিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।

নবীদুল তার এলাকায় কোনো বিরোধীমত সহ্য করতে পারতেন না। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীকে মারধর এবং হত্যার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, নিজ দলে তার মতের বিরোধীদের ওপরও চলতো অমানসিক নির্যাতন। যুবদল নেতা আকবর আলীকে গুলি করে হত্যা, বিএনপি নেতা শহীদকে মারধর, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মজনু ও মৎস্যজীবী লীগ নেতা মোয়াজ্জেমের ওপর একাধিকবার হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গত ২ অক্টোবর এক স্মরণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সয়দাবাদ ও বাঔতারায় জাহাঙ্গির, বাবলু ও জবান নামের বিএনপির ৩ কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগে ক্রসফায়ারের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নবীদুল চেয়ারম্যান নিজে গুলি করে যুবদল নেতা আকবর আলীকে হত্যা করেছে। গত ১৬টি বছর এ অঞ্চলের মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছিল।

এই এলাকায় বিএনপিকে কোনো মিছিল-মিটিং করতে দেওয়া হয়নি। এই নবীদুল আমাকে ও আমার স্ত্রী সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদকে হত্যা করার জন্য একাধিকবার আমাদের ওপর হামলা করেছিল। একজন ইউপি চেয়ারম্যান দলের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। গড়েছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ। নানা অপরাধ ও অপকর্মের কারণে সে এখন পলাতক। অপরাধী ও তার সহযোগীদের বিচার আগামীতে অবশ্যই হবে। এ অঞ্চলের নির্যাতিত মানুষ কাউকে ক্ষমা করবে না।’

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নবীদুল আত্মগোপনে চলে যান। তার দুইটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। লুট করা হয়েছে খামারের গরু। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল কিছু এখন বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রতিপক্ষরা দখলে নিয়েছেন। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিরাজগঞ্জ শহরে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মী নিহতের মামলায় সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নবীদুলকেও আসামি করা হয়েছে। সবাই এখন আত্মগোপনে রয়েছেন। যে কারণে তাদের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সারাদেশ

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে […]

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, কী ঘটেছিল

নিউজ ডেস্ক

২৯ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

কুমিল্লার মুরাদনগরের একটি গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় মামলা করেছেন ওই নারী। পরে মামলার মূল আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।

ওই নারী বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় ঘটে। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে প্রবেশ করে।

মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তারমুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী গ্রেপ্তার
ওই নারীর পাশের বাড়ির এক সদস্য বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ঘটনার সময় ফজর আলীকে স্থানীয় লোকজন আটকে মারধর করেন। পরে তাকে কুমিল্লা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, ফজর আলীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বাদির স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শেষ।

এর পরই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুমিল্লা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।