মেহেদী হাসান, যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ৪ দিনের (২৬—২৯ মে) এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২১ ইন্টার্ন প্রাণী চিকিৎসক।
যুগান্তকারী এ গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিতে ৭১.৪% কুকুরকে র্যাবিসের টিকা দেওয়া হয় যা র্যাবিস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় হার্ড ইমিউনিটির ৭০% সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মনে করা হয়।
যবিপ্রবি’র ইন্টার্ন ডাক্তার রেজাউল হাসান ফাহিম বলেন, এখানে অংশ নেওয়া ছিল একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্পে মানুষ
ও প্রাণীদের জন্য একসঙ্গে কাজ করে র্যাবিস নির্মূলের চেষ্টা একজন প্রাণীপ্রেমীর কাছে স্বপ্নপূরণের মতো। টানা দুই দিন ঝড় বৃষ্টি থাকার পরও আমরা ৭১.৪% কুকুরকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, এটি জাতীয় পর্যায়ে গণ কুকুর টিকাদান কর্মসূচিকে পুনর্জীবিত করার এক শক্তিশালী সূচনা। উপকূলীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে সীমান্তজুড়ে র্যাবিস নিয়ন্ত্রণে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।
উল্লেখ্য, এই টিকাদান কর্মসূচিতে প্রধান ভূমিকা রাখে অবয়ারণ্য, মিশন র্যাবিস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওয়াইড ভেটেরিনারি সার্ভিস (ডব্লিউবিএস)। ডব্লিউবিএস ২০০৩ সাল থেকে প্রানীকল্যাণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?