সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট
ভারত সরকারের নতুন আমদানি বিধিনিষেধের কারণে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে গেছে। গত ১৭ মে রাতে এসব ট্রাক বন্দরে পৌঁছালেও ১৮ মে রোববার সীমান্ত পার হয়ে ভারতের চ্যাংড়াবান্দা স্থলবন্দরে প্রবেশের অনুমতি মেলেনি । নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় ট্রাকগুলোর ক্লিয়ারেন্স বাতিল করা হয়েছে, ফলে পণ্য ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্য ১৭টি ট্রাকে জুস, পটেটো ক্রেকার্স, নুডুলসসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রয়েছে । আনুমানিক সোয়া এক কোটি টাকার পণ্য আটকা পড়েছে। আকিজ ও সজীব গ্রুপের খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাকও আটকা রয়েছে ।
নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফল-ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, তুলার বর্জ্য, কাঠের আসবাবপত্র। বাংলাদেশ কর্তৃক ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার এক মাস পর ভারত এই পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। নিষেধাজ্ঞায় ছোট-বড় ব্যবসায়ীসহ ৩৫০টি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে।
এছাড়া ভুটান থেকে পাথর আমদানি এবং ভারত-নেপালে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান জানান, নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি না পাওয়া গেলেও পণ্য প্রবেশ বন্ধ রয়েছে । স্থলপথের পরিবর্তে সমুদ্রপথে পণ্য পাঠালে খরচ দ্বিগুণ এবং সময় ২০-২৫ দিন লাগবে, যা ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।
ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এই নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে।
বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা দ্রুত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া, সমুদ্র ও বিমানপথে রপ্তানি বাড়ানোর বিকল্প পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?