সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

আছে গবাদি পশু পালনের বিশাল মাঠ, নেই বেচাকেনার হাট

নূরুল আলম কামাল, নেত্রকোনা: নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা একটি হাওয়ার বেষ্টিত এলাকা। এ অঞ্চলে রয়েছে খাল বিল নদী নালা ও ছোট বড় অসংখ্য হাওর। চাষাবাদের জমিসহ বিশাল বিশাল পতিত মাঠ রয়েছে। এসব মাঠে প্রাকৃতিক ঘাস খেয়ে স্থানীয় কৃষকদের গরু, মহিষসহ গৃহপালিত পশু বেড়ে ওঠে। ওই পশু হাওরাঞ্চল সহ দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। তবে […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ২০:৫৩

নূরুল আলম কামাল, নেত্রকোনা:

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা একটি হাওয়ার বেষ্টিত এলাকা। এ অঞ্চলে রয়েছে খাল বিল নদী নালা ও ছোট বড় অসংখ্য হাওর। চাষাবাদের জমিসহ বিশাল বিশাল পতিত মাঠ রয়েছে। এসব মাঠে প্রাকৃতিক ঘাস খেয়ে স্থানীয় কৃষকদের গরু, মহিষসহ গৃহপালিত পশু বেড়ে ওঠে। ওই পশু হাওরাঞ্চল সহ দেশের আমিষের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।

তবে এসব গবাদি পশু বিক্রির জন্য নেই কোন হাট। ঝুঁকি নিয়ে অন্য উপজেলা ও জেলাতে গবাদি পশু বিক্রির জন্য যেতে হয়। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এলাকায় পশু বিক্রির হাট স্থাপন। 

খালিয়াজুরী কৃষি ও প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৯ হাজার ৭৬৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ উপজেলায় ৬৮ টি গ্রামের ৫৪ ওয়ার্ডের ২০ হাজার ১৯৩ টি পরিবারের মধ্যে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৫৯৬ হেক্টর জমির মধ্যে ২০ হাজার ২৯৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়।

আর অবশিষ্ট ৮ হাজার ৩০৩ হেক্টর জমির প্রায় অর্ধেক রবিশস্য চাষাবাদ করা হয়। অনাবাদী প্রায় ৪ হাজার হেক্টর পতিত জমিতে গরু, মহিষ সহ গবাদি পশু লালন পালন করা হয়। 

উপজেলার যে সব হাওরে গবাদি পশু ঘাসের জন্য উপযোগী। মেন্দিপুর ইউনিয়নের নাওটানা ও চাতলপাড়, পূর্ব জগন্নাথপুর, চাকুয়া ইউনিয়নের চাকুয়া, হারাকান্দি, বল্লী ও শালদিগা, খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, খালিয়াজুরী, গচিকাই, গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর, পাচহাট, নগর ইউনিয়নের নগর, বাঘাটিয়া ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর পূর্বা, মুসলিমপুর, কল্যাণপুর ও কুতুবপুর হাওর উল্লেখ যোগ্য।

এসব হাওর গুলোতে পৌষ মাস থেকে বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত রাখালরা দলবদ্ধভাবে গরু, মহিষ ও অন্যান্য গবাদি পশু লালন পালন করে থাকে। সকাল আটটা থেকে রাখালরা গরু নিয়ে মাঠে চলে যায়। সারাদিন ঘাস খাওয়ানোর পর সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে আসে। এভাবেই চলতে থাকে নিয়মিত রাখালদের গবাদি পশু পালন কাজ। 

খালিয়াজুরী উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার কৃষক পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারেই গরু, মহিষ সহ অন্যান্য গবাদি পশু লালন পালন করা হয়। উপজেলায় ৫২ হাজার ২৯৫ গরু, সাড়ে ৩ হাজার ছাগল, ৪ হাজার ২২৫ ভেড়া, ৩৮৫ মহিষ, ২ লাখ ৯৫ হাজার হাঁস, ২ লাখ ২০ হাজার ৫৮৪ মুরগি রয়েছে। 

রাখাল সুলাইমান ও মামুন মিয়া বলেন, আমরা গরু পালন করি। কেনাবেচার কোন হাট না থাকায় জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গবাদি পশু কেনাবেচা করতে হয়। এতে করে খুবই কষ্ট হয়। সরকার আমাদের এলাকায় একটা পশুর হাট করে দিলে ভাল হয়।

উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের মোঃ রিপন মিয়া, সবুজ মিয়া, চাকোয়া ইউনিয়নের আবুল কাশেম, খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ রাসেল মিয়া, গাজীপুর ইউনিয়নের মাসুদ মিয়া, মামুন মিয়া, নগর ইউনিয়নের হারাধন দাস ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আব্দুল জব্বার মিয়া বলেন, আমরা প্রত্যেক কৃষকেই জমি চাষাবাদ, মাছ ও গবাদি পশু লালন পালন করে পরিবারের বছরের খরচ মিটানো হয়।

গবাদি পশু কেনাবেচার কোন হাট নেই। উপজেলার বাহিরে মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শ নগর, মদন উপজেলার দেওয়ান বাজার, কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং সহ অন্যান্য বাজার থেকে গরু বেচাকেনা করতে হয়। এটা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই কষ্টকর।

খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও গাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব স্বাধীন, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কেষ্ট ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ ইসমাইল হোসেন জানায়, উপজেলা গবাদি পশু বেচাকেনার হাট খুবই জরুরী। বিক্রির হাট থাকলে কৃষকগণ এলাকায় গরু কেনাবেচা করতে পারবে।

এতে সরকার হাট ইজারার মাধ্যমে রাজস্ব পাবে। এ জন্য তারা ইউএনওর মাধ্যমে গরু বেচাকেনার হাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এলাকা বিবেচনায় গবাদি পশু বিক্রির হাট অনুমোদন দেয়া দরকার। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা গরু বিক্রির হাট জরুরী প্রয়োজন। গরু কেনাবেচার হাট থাকলে কৃষকের কষ্ট লাগব হবে। 

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভাস্কর তালুকদার জনান, উপজেলায় প্রায় প্রত্যেক কৃষক পরিবারই গবাদি পশু লালন পালন করেন। এগুলো বিক্রির জন্য কোন হাট নেই। উপজেলার সমতল এলাকায় হাট স্থাপন করলে কৃষকদের ভোগান্তি লাগব হতো। 

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উজ্জল হোসেন বলেন, উপজেলার জনগণের পক্ষ থেকে গরু বিক্রির হাটের জন্য সাংবাদিক মোঃ আবুল কালাম আজাদ আবেদন করেছেন। আবেদনটি ডিসি স্যারের কাছে পাঠিয়েছি। 

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, গবাদি পশু বিক্রির জন্য হাট স্থাপনে একটি আবেদন পেয়েছি। তবে হাটের জন্য স্থানীয়দের জমি দান করতে হয়। হাট স্থাপনের জন্য কেহ যদি জায়গা জমি দিতে পারে সেক্ষেত্রে বাজার স্থাপন করা সম্ভব হবে।

এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কুরবানীর জন্য অস্থায়ী কিছু হাটের ব্যবস্থা করার জন্য। প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই হাটগুলো ইজারার ব্যবস্থা করা হবে। 

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৫০

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৫০

সারাদেশ

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০১ জুন ২০২৫, ১৯:৪৬

গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এক মর্মান্তিক ঘটনার অবসান হলো রোববার (১ জুন) ভোরে। সেনানিবাসের ওয়ার্কশপ ভবন থেকে সৈনিক এসএম সৌরভ হোসেনের (৩৪) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌরভ হোসেন ঝিনাইদহ জেলার গাড়াগঞ্জ গ্রামের উজির আলী মোল্লার ছেলে। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। জানা যায়, কিছুদিন আগে বগুড়া সেনানিবাস থেকে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে এমপি (এপিসি) স্কট হিসেবে বদলি হয়েছিলেন।

পুলিশ জানায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলায় সর্বস্বান্ত হয়ে মানসিক চাপে ছিলেন সৌরভ। রোববার গোপনে ল্যান্স করপোরাল ইয়াসির আরাফাতের মোবাইল থেকে ১৪ হাজার টাকা বেটিং সাইটে জমা দেন। ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি টের পেয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং লোকজন ডাকাডাকি করলে সৌরভকে শাস্তিস্বরূপ নজরবন্দি রাখা হয়।

ভোরে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলে প্রহরীর সঙ্গে বের হয়েছিলেন সৌরভ। কিন্তু দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে প্রহরীরা ও গার্ড কমান্ডার খুঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দেখা যায়, ওয়াশরুমের জানালা খোলা। পরে ওয়ার্কশপ ভবনের পাশে কনস্ট্রাকশনের বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

মরদেহের পাশে একটি বিশেষ চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছেন বলে পুলিশ জানায়। মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ ঘটনায় সেনানিবাস ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মহত্যার পেছনের কারণগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৫০

সারাদেশ

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিমের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামেরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার বাবার নাম এরশাদ হাওলাদার। মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান সময় সংবাদকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় […]

ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিমের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মে ২০২৫, ২২:৫৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তামিম হাওলাদারের গ্রামেরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ি এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তার বাবার নাম এরশাদ হাওলাদার।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মো. শেখ আহাদুজ্জামান সময় সংবাদকে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সন্ধ্যায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তার আগেই পুড়ে যায় তামিম হাওলাদারের দুটি বসতঘর। কে বা কারা আগুন দিয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন জানান, ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটের সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। এ ঘটনায় তামিম হাওলাদারসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকও ছিলেন। সাম্য সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা ফখরুল আলমের ছেলে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৩৫০