আক্কাছ আলী মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অ.স্ত্র-গু.লি.সহ তিনজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেয় কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ এবং নৌ পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর জামালপুর গ্রামের মৃত আমজাদের ছেলে সৈয়দ আলী (৬৫), মৃত কয়মের ছেলে ইমান (৬০) এবং আলমের ছেলে মনির হোসেন (২৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একটি স.ন্ত্রা.সী চ.ক্র গোপনে অ.বৈ.ধ অ.স্ত্র সংগ্রহ ও স.ন্ত্রা.সী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের ধরতে যৌথ বাহিনীর এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে উত্তর জামালপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মোশারফের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ২টি খালি ম্যাগাজিন, ৫১ রাউন্ড তাজা গু.লি, ২টি পি.স্ত.লের কভার, ১টি কুড়াল, ১টি টেটা, ১টি এমোনেশন বক্স, ১টি গু.ল.তি এবং ১টি ট্রলারের পাখা উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের সময় মোশারফ কৌশলে পালিয়ে যায়।
এছাড়া, কুখ্যাত নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১টি বড় রামদা, ১১টি ছুরি, ২টি বাইনোকুলার, সেনাবাহিনীর পোশাক সদৃশ কাপড় ও নগদ ৫৯ হাজার ৫৬০ টাকা উ.দ্ধা.র করা হয়। তবে নয়ন-পিয়াস এ সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন না।
অভিযানে সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যরা ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম এবং গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মামুন শরীফ। এছাড়া গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ এবং গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষও অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে পি.স্ত.লে.র গু.লি, রা.ম.দা, ছু.রি ও অন্যান্য অ.স্ত্র উ.দ্ধা.র করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?