কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটার তুলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাদশা ফরাজীর বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন বাদশা ফরাজীর পরিবারের বাদশা ফরাজী (৫০), বাদল ফরাজী (৫০), বকুল বেগম (৪৫), রাসেল (১৯), মানসুরা বেগম (৫০), কোহিনুর বেগম (৪০) ও মিলন (২২)। অন্যদিকে কুদ্দুস ফরাজীর পরিবারের রুহুল আমিন (৩২), ইয়াকুব (৩৪) ও লাইলী বেগম (৫০) আহত হয়েছেন।
আহতদের প্রাথমিকভাবে কুয়াকাটার ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে। কুয়াকাটা হাসপাতালের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. রিয়াজ জানান, আহতদের মধ্যে সাতজনের মাথা ও বুকসহ বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাদশা ফরাজী ও কুদ্দুস ফরাজীর পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকালে বাদশা ফরাজীর পরিবারের সদস্যরা বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় কুদ্দুস ফরাজীর পক্ষের কয়েকজন এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংঘর্ষের সময় স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। সংঘর্ষে বাদশা ফরাজীর পরিবারের দুটি বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগের বিষয়ে কুদ্দুস ফরাজী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে জাল দলিলের মাধ্যমে বাদশা ফরাজীরা আমার জমি দাবি করে দুটি ঘর নির্মাণ করে। ৫ তারিখের পর আমি সেই ঘর দুটি ভেঙে দেই। বিরোধ মীমাংসার জন্য বিএনপি’র পৌর সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লির কাছে কাগজপত্র দিয়েছি, কিন্তু তারা কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। আজ সকালে খবর পাই তারা আবার ঘর তুলছে। সেখানে গেলে প্রতিপক্ষরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
অন্যদিকে বাদশা ফরাজী জানান, “৫ তারিখ রাতে কুদ্দুস ফরাজীর লোকজন আমাদের দুটি বসতঘর ভেঙে ফেলে। কোনো ন্যায়বিচার না পেয়ে আজ সকালে আমরা নিজেদের জমিতে ঘর তুলছিলাম। তখন কুদ্দুস ফরাজীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়, এতে আমাদের সাতজন আহত হয়।”
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, “৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?