আক্কাছ আলী মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার খেয়া ঘাটটি যেন মরণ ফাঁদ। ঘাটটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজারেও বেশী মানুষ পারাপাড় হয়।
বাজারের দক্ষিণ পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মার শাখা নদী। এ নদীতে ট্রলারই একমাত্র যাতায়াতের ভরসা। মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁদপুরসহ নদী বেষ্টিত ৫টি জেলার অন্তত ১১টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত। এতে করে ঝড়-তুফান উপেক্ষা করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই ঘাটটি দিয়ে।
প্রতিনিয়ত দিঘীরপাড়ের খেয়াঘাট দিয়ে হাজারো মানুষের ভোগান্তি দেখা যাচ্ছে। বৃদ্ধ শিশু অসুস্থ ব্যক্তিরা খেয়া ঘাট দিয়ে উঠানামা করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মাদ হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিন দিঘীরপাড় বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসি, কিন্তু যখন দিঘীরপাড়ের ঘাটে আসি তখন জীবন ঝুঁকি নিয়ে খেয়া ঘাট দিয়ে উঠানামা করতে হয়।
কাঁচিকাটার এলাকার রাবেয়া নামে এক মহিলা বলেন,এই ঘাটটি দিয়ে যে একবারে আসে, সে দ্বিতীয়বার আসতে চায় না। আমার মনে হয় বাংলাদেশে এই জায়গাটাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটি ঘাট।
এখান দিয়ে হাজার হাজার টন আলু, মরিচ,কাঁচামাল দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় । এই ঘাটি দিয়ে এ মালগুলো উঠানামা করতে যে কষ্ট আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।আমরা চাই দুই পাড়ে দুটি পাকা খেয়াঘাট তৈরি করা হউক, যাতে করে দুই পাড়ের মানুষ সুন্দর ভাবে চলাচল করতে পারে।
যাতায়াতে দৈনিক ১০টাকা ভাড়া দিয়ে ও জীবন বাজী রেখে উঠানামা করতে হয়। ঘাট থেকে পরে অনেকের হাত-পা ভেঙে গেছে।
দিঘীরপাড় পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল মিজি জানান, আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করিব।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?