জিয়াউর রহমান, পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিয়ের দাবিতে অনশনের দুদিন পর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে এক সন্তানের জননীর।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামে প্রেমিক অসিম রায়ের (২৬) পরিবারের সম্মতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পূজা মণ্ডল (২৪), যিনি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মহিসচরনী গ্রামের বাসিন্দা, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অসিম রায়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। পূজা জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত হয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে পূজা মণ্ডল বলেন, “আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও পরিবার প্রথমে অন্য একটি ছেলের সাথে আমার বিয়ে দেয়। সেখানে সাত দিন থাকার পর আমি চলে আসি। এরপর কচুয়া উপজেলার বানবাড়িয়া এলাকায় আরও একটি ছেলের সাথে জোর করে আমার বিয়ে দেওয়া হয়।
সেই ঘরে আমার একটি মেয়ে রয়েছে। পরে প্রেমিক অসিম রায় আমাকে সেই স্বামীকেও ডিভোর্স দিতে বলে। এরপর আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে বাবার বাড়িতে প্রায় তিন বছর ছিলাম।
এই সময় অসিম মাঝেমধ্যে আমার কাছে আসত। কিন্তু যখনই তাকে বিয়ের কথা বলতাম, সে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যেত। বাধ্য হয়েই আমি অসিমের বাড়িতে এসে অনশনে বসেছিলাম।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আমজেদ হোসেন জানান, “অসিম কুমারের বাড়িতে এক সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।”
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এক সন্তানের জননী বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিলেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পরিবারের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?