আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু /টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের যমুনার চরাঞ্চলে পরিত্যক্ত জমিতে অল্প খরচে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা ঝুঁকছে নতুন নতুন জেগে উঠা যমুনার চরগুলোতে পেঁয়াজ আবাদে।
অপরদিকে যমুনার চরাঞ্চলের জমিগুলো পেঁয়াজ আবাদের আওতায় আনা গেলে আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টাঙ্গাইলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় ৮৭২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদন হবে ৯ হাজার ৯৮৫ মেট্রিক টন প্রায় ।
জেলার যমুনার চরাঞ্চলে এবার বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বিশেষ করে ভ‚ঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও কালিহাতী উপজেলার নদীর চরাঞ্চলের পরিত্যক্ত জমিতে ফলন ভাল হয়েছে।
শুধু লাঙ্গল দিয়ে একবার টেনেই পেঁয়াজ বুনে রাখে কৃষক। তাতেই ফলন ভাল হয়। একবার সামান্য সার দিতে হয়েছে। পেঁয়াজের ফল দেখে খুশি কৃষক।
মজিবুর রহমান বলেন , পেঁয়াজ আবাদে তেমন কোন পরিচর্যার দরকার হয় না। যার কারণে উৎপাদন খরচ খুবই কম।
এ বছর যমুনার চরে জেগে ওঠা জমিতে প্রায় ৩৩ শতাংশ উপর পেঁয়াজ বপন করেছি। জেগে ওঠা চরে এমনিতেই মাটিগুলো নরম যার কারণে শুধু একবার লাঙ্গল দিয়ে টেনে পেঁয়াজ বপন করেছি।
এতে দেখা যাচ্ছে পেঁয়াজের আবাদ খুবই ভালো হচ্ছে। খরচ কম হওয়াতে আগামী বছর ইনশাআল্লাহ আরো বেশি করে আবাদ করব।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, কৃষকরা এখন ঝুঁকছেন পেঁয়াজ আবাদে। নতুন নতুন জেগে উঠা চরগুলোতে পেঁয়াজের ভাল ফলন হওয়াতে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মোঃ আশিকুর রহমান বলেন, চাহিদার বেশিরভাগ পেঁয়াজ দেশে উৎপাদন হয়। সামান্য কিছু আমদানী নির্ভরতার কারণে মাঝে মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার উর্ধ্বমুখী হয়।
তিনি আরো বলেন প্রতি বছরই নদীতে জেগে উঠে নতুন নতুন চরাঞ্চলের জমিগুলো পেঁয়াজ আবাদের আওতায় আনা গেলে আমদানী নির্ভরতা কমে আসবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?