সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে পর্যটককে আটকে রেখে মারধর এবং অর্থ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হোটেলটির ভাড়াটিয়া মালিকসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
পভুক্তভোগী পর্যটক তুহিন(৩৫),রাজধানীর মিরপুর শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সোবহানের ছেলে।
তিনি মঙ্গলবার (৬মে) দুপুরে মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,সোমবার গভীর রাতে কুয়াকাটার ব্লু বার্ড আবাসিক হোটেলের ১০২ নম্বর কক্ষে পর্যটক তুহিনকে আটকে রেখে মারধর করা হয় এবং তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর আরও দুই লাখ টাকা চাঁদার দাবি করে তাকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়। পরে তুহিন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধাঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি
ও হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক মো. বেল্লাল হোসেন (৪৫), তার সহযোগী রিয়াজ (২৪) এবং শাকিল (২৪)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক আসামি মো. ইউসুফ হাওলাদার (২৭) পলাতক রমহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান,
৯৯৯ থেকে তথ্য পাওয়ার পর দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয় এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পর্যটক তুহিন অভিযোগ করেন, তিনি চার দিন আগে ব্লু বার্ড হোটেলে দৈনিক ১ হাজার টাকা চুক্তিতে রুম ভাড়া নেন।
তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ১২ হাজার টাকা দাবি করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা কক্ষে গিয়ে তাকে মারধর করে
এবং জিম্মি করে আরও অর্থ দাবি করেঅন্যদিকে, হোটেল ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন দাবি করেছেন, তুহিন হোটেলে নিয়মিত দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মো. ফারুক বলেন,
কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় দল নেবে না। যুবদলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?