নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনায় বিচার বিভাগীয় অধস্তন কর্মচারীদের পদোন্নতির মাধ্যমে ৭-১২ তম গ্রেডভুক্তি সহ ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মচারীদের দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন, জেলা জজ আদালতের জিপি এডভোকেট মাহফুজুল হক,
নেত্রকোনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আমিনুল ইসলাম খান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাসুদ রানা চৌধুরী, এডভোকেট কাদির ও এডভোকেট মজিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় এসোসিয়েশনের নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি সেরেস্তাদার মো. এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেসারভার জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা জজ আদালতের সেরেস্তাদার মোফাজ্জল হোসেন খান প্রমুখ।
বক্তব্যরা বলেন, বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করতে হবে। অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান।
বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা। বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজন পূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
তারা আরও বলেন, সচিবালয়ে একজন অফিস সহায়ক চাকুরিতে যোগদান করে যোগ্যতার ভিত্তিতে উপ-সচিব (নন্ ক্যাডার) পদে পদোন্নতি পেতে পারেন। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে অফিস সহকারী পদে যোগদান করে পদোন্নতি পেয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পর্যন্ত হতে পারেন।
পুলিশের কনস্টেবল পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নন্ ক্যাডার) পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণের এরকম কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। নির্দিষ্ট কিছু পদে পদোন্নতি থাকলেও তা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?