আক্কাছ আলী, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় বাজারের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মার শাখা নদী। এ নদীতে সেতু না থাকায় ট্রলারই একমাত্র যাতায়াতের ভরসা। মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁদপুরসহ নদী-বেষ্টিত তিনটি জেলার অন্তত ১১টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত এই নদীপথে। এতে করে ঝড়-তুফান ও রাত-বিরাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ পথে।
মুন্সিগঞ্জ জেলা শহর ও রাজধানীতে যাতায়াতের পথও এদিক দিয়ে। নদীর পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ পাড়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড়, কামারখাড়া, হাসাইল বানারী ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ১২-১৩টি গ্রাম; মুন্সিগঞ্জ সদরের শিলই ও বাংলাবাজারের তিন-চারটি গ্রাম; শরীয়তপুরের নওপাড়া, চরআত্রা, কাঁচিকাটা, কুণ্ডেরচর এবং কোরবী, মনিরাবাদ, ঘড়িশালসহ পাঁচটি ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রাম।
এছাড়া কুমিল্লা জেলার এলামচর, পূর্ব বানিয়াল, চাঁদপুরের হাইমচরের কিছু অংশ মুন্সিগঞ্জ জেলার সঙ্গে লাগোয়া। এসব ইউনিয়নের গ্রামগুলোর অন্তত দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ তাদের প্রয়োজনে প্রতিদিনই ট্রলারে করে এ নদী পার হচ্ছেন। নদী পার হয়ে টঙ্গিবাড়ী শহর, মুন্সিগঞ্জ সদর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে যাতায়াত করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড়ে পদ্মার শাখা নদীতে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন লাখো মানুষ। উপজেলার দিঘিরপাড় বাজার ও দিঘিরপাড় চর সংলগ্ন একটি সেতু নির্মাণ হলে জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাসিন্দাদের পাশাপাশি উপকৃত হবে পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। কিন্তু সেতু না থাকায় এসব এলাকার বাসিন্দাদের জন্য পদ্মার শাখা নদী পারাপারে এখন ট্রলারই একমাত্র ভরসা।
ট্রলারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষাসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। সম্প্রতি টঙ্গিবাড়ীর দিঘিরপাড় বাজারে গেলে চোখে পড়ে নদীর পূর্ব পাড় থেকে ট্রলারভর্তি মানুষ আসছেন। ট্রলার থেকে নেমে দিঘিরপাড় বাজার, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পরিষদ, মুন্সিগঞ্জ শহর ও রাজধানী ঢাকার দিকে ছুটছেন। একইভাবে এখান থেকে ট্রলারভর্তি হয়ে নদীর পশ্চিম পাড়ে যাচ্ছেন অনেকে। এছাড়াও নদীর উত্তর এবং দক্ষিণ পাশ থেকে ট্রলারভর্তি হয়ে দিঘিরপাড় হাটে কেউ মালপত্র বিক্রি করতে আসছেন, কেউবা এ হাট থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গৃহস্থালির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছেন। সবকিছুই হচ্ছে ট্রলারের ওপর নির্ভর করে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, দিঘিরপাড় বাজারসংলগ্ন পদ্মার শাখা নদীর ওপর ১২০ মিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণ এবং নদীর পশ্চিম পাশে ৪ কিলোমিটারের একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, সেতু নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হিসেবে মাটি পরীক্ষা ও অন্যান্য জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল। এখন নকশা তৈরি করে বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?