শেখ নজরুল ইসলাম, (তালা উপজেলা প্রতিনিধি)
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আগুনে পুড়ে সানজিদা আক্তার তুলি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর মারা যাওয়ার ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় আমিনুর রহমান (২৪) নামের এক ইমামকে পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চননগর গ্রামের রবিউল ইসলাম গাজীর ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এদিনই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সানজিদা আক্তার তুলি তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের কামরুল মোড়লের মেয়ে এবং তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজবাড়ির উঠানে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তুলি। তখন সে একাই বাড়িতে ছিল। তার বাবা খুলনায় রিকশা চালান। আর তার মা ছিলেন অন্যের বাড়িতে কাজে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরীরে আগুন লাগানোর আগে তুলির হাতে কলম দিয়ে ‘আমিনুর’ নাম লেখা ছিল।
এলাকাবাসীর দাবি, তুলির বাড়ির পাশের মসজিদে তিন মাস আগে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন আমিনুর রহমান। তুলি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং এলাকা ছেড়ে চলে যান।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আমিনুর রহমান কয়েক বছর ধরে তালা উপজেলার ঘোনা জামে মসজিদের পেশ ইমাম হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি মসজিদের পাশের কলেজছাত্রী সানজিদা আক্তার তুলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তুলি তাঁকে প্রস্তাব দেয় বিয়ের। একপর্যায়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মসজিদের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তুলি। একপর্যায়ে সে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বেলা ১১টার দিকে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তুলির মৃত্যু হয়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. শাহীনুর রহমান বলেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তুলির লাশ শুক্রবার বিকেলে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
তুলিকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে আমিনুরের নাম উল্লেখ করে ঘটনার দিন রাতেই থানায় মামলা করেছেন। আমিনুরকে গতকাল রাতে পাটকেলঘাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?