গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ ঘটিকার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ক্লাবে এসে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ময়জুদ্দিন।
অভিযোগে জমির মালিক ময়জুদ্দিন বলেন, আমার বাবার ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন যাবৎ ফসল উৎপাদন করে ভোগ করে আসছি।
গত কয়েকদিন আগে একটি স্বার্থনেষ মহল আমার উৎপাদিত ভুট্রার ফসল জোরপূর্বক তাদের বাহিনি এসে ফসল তুলে নিয়ে যায়। এসময় বিবাদী মোস্তফা, সাইফুল, শাহীন ও মোসলেম সবার পিতা: মোজামেল হক গংরা এসে ফসল তুলে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পড়ে স্থানীয়রা স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করেও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। জমির মালিক তার বক্তব্যে বলেন আমার জমিতে আমি ধান লাগানোর জন্য জমি চাষ করি।
পরের দিন ধান লাগানোর জন্য শ্রমিক নিয়ে জমিতে গেলে বিবাদীগন আমাদের উপর লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এসময় আমার স্ত্রীকে মারধর ও হত্যার চেষ্টা করে। পরে আমার আহত স্ত্রীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিরে নিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় বাদী ময়জুদ্দিন এর স্ত্রী শাহীনা বেগম আহত অবস্থায় রৌমারী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় সরকারের কাছে ন্যায় বিচার দাবি জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে,তারা হলেন মোস্তফা, সাইফুল , শাহীন ও মোসলেম সবার পিতা: মোজামেল হকসহ তার ওয়ারিশগন। শামিম পিতা:মৃত নুরু, একরাম পিতা: মন্ডল সর্ব সাং-বেহুলারচর।
অভিযোগ কারি ময়জুদ্দিন বলেন, আমার বাবার ক্রয়কৃত জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের ওই জমির সকল কাগজ পত্র থাকলেও জোরপূর্বক
আমাদের জমিতে যেতে দিচ্ছেন না। আমি সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাই। বিবাদী মোস্তফার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন , এব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?