বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সারাদেশ

সেতু আছে, কিন্তু সড়ক নাই

মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ সেতু থাকলেও, নেই সংযোগ রাস্তা। সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের হাজারো মানুষ। জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার বাড়ির কাছে ৩২ […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০০:৪০

মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

সেতু থাকলেও, নেই সংযোগ রাস্তা। সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুড়ভুড়িয়া গ্রামের হাজারো মানুষ।

জানা যায়, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের কাশেম মিয়ার বাড়ির কাছে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়।

সেতু নির্মাণের পর থেকে আজ অবধি সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে অথচ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঠিকাদার সেলিম মিয়া গত কিছুদিন আগে জানান, সাড়ে ৩২ লাখ টাকার কাম, অতো মনে নাই। ব্রিজটি তো টিক্কা আছে!!

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর নির্মিত হয় সেতু আর এখন তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু সেতু ব্যবহার করতে পারছে না গ্রামবাসী সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন তারা।এলাকাবাসী বলছেন সেতুটি এখন বিষফোঁড়া।

সেতুটিতে যানবাহন বা মানুষ চলাচলের স্থলে, মানুষ এখন ধান, মরিচ আবার কেউ কেউ কাপড়চোপড় বা কাঁথা শুকাচ্ছে।

গত কয়েক বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর সংযোগ রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ রহস্যজনক কারণে শেষ না করায় সেতুর আশেপাশে জমে থাকছে পানি আর এ পানি জমাট বেধে থাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যাচ্ছে তারা।

বন্যার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও নাজুক হয়ে যায়, সেতু থাকতেও নৌকা কিংবা ভিজে পার হতে হয় হাজারো গ্রামবাসীকে।

জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।

ভুড়ভুড়িয়া এলাকার মহসিন মিয়া নামে এক বৃদ্ধ বলেন, গত বহু বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার, তারপর থেকে আমরা একদিনের জন্যও এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা তো অবহেলিত, আমাদের কেনো তারা সুযোগ সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণ ধুলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয়ে দাঁড়ায়।

মরিয়ম নামে এক নারী বলেন, বয়স হয়েছে এখনো খালের পানিতে নেমে পার হয়ে যেতে হয় ভুড়ভুড়িয়া বাজারে। সেতু করে দিয়েছে কিন্তু সেতুতে ওঠার কোনো ব্যবস্থা করে দেয়নি তারা (ঠিকাদার)।

ছোট ছোট নাতি-নাতনি নিয়ে ভিজে স্কুলে যাই, ভয় করি কখন আবার ওরা (নাতি-নাতনি) পানিতে পড়ে যায়, কারণ ওরা এখনো সাঁতার শেখনি এখনো আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর গোড়ায় মাটি দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিক।

স্থানীয় সংগঠক ও সমাজসেবী আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন, ব্রিজটি এখন এলাকার বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংযোগ সেতু না থাকায় এলাকাবাসী নিজেরাই বাধ্য হয়ে বাঁধ দিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছেন।

আর এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে সেতুর দু’পাশে থাকা হাজার হাজার একর কৃষি জমির। বাঁধের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষক এখন টাকা খরচ করে শেলো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দেয়। এর একটা বিহিত চাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সেতু যখন নির্মাণ হয় ওই সময় আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না, তাই বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ১৫/২০ দিনের মধ্যে সেতুর দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

সারাদেশ

মির্জাগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে মাদক ব্যবসায়ী সহ গ্রেফতার ৫ জন

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

০৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৩

সিয়াম রহমান হিমেল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের সভাপতিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহষ্পতিবার (৬ মার্চ) অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে সুবিদখালী দারুস সুন্নাত মাদ্রাসার সামনের রোড থেকে রাত আনুমানিক ৮ঘটিকায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লোটাস সিকদার-কে (৪৮) ভয়াং বাজারে চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত লোটাস উপজেলা সদরস্থ দেউলী গ্রামের রমজান আলীর পুত্র। 

এছাড়াও অল্প সময়ের ব্যবধানে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নিজাম হাওলাদার (৪৯) ও তাঁর সঙ্গী রুবেলকে (৪০) মির্জাগঞ্জ ব্রীজের উপর থেকে ৯০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্ধ করা হয়।

আটককৃত নিজাম হাওলাদার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের পুত্র ও রুবেল পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সামসু হাওলাদারের পুত্র। আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৫টি মামলা রয়েছে।

অন্যদিকে একই উপজেলার মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের করিম মৃধার পূত্র মিরাজ মৃধা (২৫)-কে ১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

মিরাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে এবং তিনি আন্ত:জেলা মাদক কারবারের সাথে জড়িত।  

অন্যদিকে উপজেলা সদরস্থ দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ডোকলাখালী গ্রামের কাঞ্চু কবিরাজের পুত্র নুরুল হক নামে এক ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামিকে তার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হাওলাদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বিভিন্ন এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদক ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

সারাদেশ

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে […]

নিজের মেয়েকে ধর্ষণ, মায়ের কৌশলে ধরা পড়লেন বাবা

ছবি : সংগৃহিত

নিউজ ডেস্ক

১০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ারদিঘির পাড় এলাকায় নিজের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

জানা গেছে, প্রতিদিন শিশুটির মা যখন গার্মেন্টসের কাজে বেরিয়ে যান, বাবা তখন নাইটগার্ডের চাকরি শেষে বাসায় ফেরেন। এ সুযোগে বেশ অনেকদিন ধরে নিজের কন্যাশিশুটির সঙ্গে অনৈতিকভাবে মেলামেশার চেষ্টা করে আসছিলেন বাবা প্রদীপ বণিক।

এর আগে যতোবারই এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, শিশুটি তার মা বাসায় ফেরার পর বোঝানোর চেষ্টা করেছে। কান্নাকাটিও করতো। কিন্তু মায়ের কাছেও পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হতো।

কয়েকদিন আগেও শিশুটিকে যখন বাবা প্রদীপ বণিক ধর্ষণ করে, তখন মেয়েটি সারাক্ষণই কান্নাকাটি করতে থাকে। একপর্যায়ে মাকে সবকিছু খুলে বলে। তখন মা তাকে একটি মোবাইল হাতে দিয়ে বলেন, যখনই বাবা ওরকম কিছু করার চেষ্টা করবে, তখন মোবাইলে ভিডিও করে রাখবে।

রোববার বেলা তিনটার দিকে প্রদীপ বণিক রোজকারমতো মেয়েকে বিছানায় টানার চেষ্টা করলে সে কৌশলে মোবাইলের ভিডিও সচল করে দেয়। গার্মেন্টসের কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর সেই ভিডিও দেখে মা ও মেয়ে দুজনেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় আশেপাশে তাদের কয়েকজন নিকটাত্মীয়ও সেখানে আসেন।

এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় জরুরি সহায়তা সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনা জানানো হলে পুলিশ এসে প্রদীপ বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যদিকে ধর্ষিতা শিশুটিকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করানো হয়

সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার বাদি হয়েছেন শিশুটির মা নিজে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেন, “এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন মেয়েটির মা নিজেই। পুলিশ এখন এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করবে।”

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, ভারতীয় গুলিবিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিউজ ডেস্ক

০৫ মে ২০২৫, ১৬:১৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাদলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (৪ মে) রাত প্রায় পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. সাকিব (১৮)। তিনি কসবায় নন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জানান, রাতে বিএসএফ সদস্যদের ছোড়া গুলিতে সাকিব গুরুতর আহত হন। তাকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। একই সময় এক অজ্ঞাতনামা ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয় এবং বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম জানান, মাদলা সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোর ও ভারতীয় নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। তিনি বলেন,

“গুলিতে সাকিব নিহত হয় এবং অপর ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে চলে আসে।”

ঘটনার বিষয়ে ইউএনও আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাকিব ও আহত ভারতীয় ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেল চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, সীমান্তে কিশোর নিহত ও অন্য একজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি সম্পর্কে বিজিবি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯২২