রাজবাড়ীতে অসচ্ছল নদীপাড়ের মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে পদ্মা নদীতে অবস্থান করছে ইম্প্যাক্ট ‘জীবন তরী’ ভাসমান হাসপাতাল ।
এই হাসপাতালটি এখন মানুষের ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে । স্বল্প খরচে উন্নত চিকিৎসা সেবা পেতে প্রতিদিন শতশত রোগী এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসছে ।
শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী । দিনে ৯০ থেকে ১০০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে । এছাড়াও স্বল্প খরচে প্রতিনিয়ত চোখের বিভিন্ন সার্জারি করা হচ্ছে ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভাসমান হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয় ।
গত ২৫ বছরে ৫০টি জেলায় এই হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সোনাকান্দর মৌলভীঘাট এলাকায় আসে ইম্প্যাক্ট ‘জীবন তরী’ ভাসমান হাসপাতালটি ।
১৮ জানুয়ারি থেকে রোগী দেখার কার্যক্রম শুরু করে হাসপাতালটি । শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোগী দেখার কার্যক্রম চলে । তবে রমজান মাসে দুই ঘণ্টা কমিয়ে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রোগী দেখার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল ।
রোগী দেখার রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০ টাকা ।হাসপাতালটিতে স্বল্পমূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ছানি অপারেশন করা হয় । রোগীর চাহিদা অনুযায়ী লেন্স সংযোজন ও ফ্যাকো সার্জারির ব্যবস্থা আছে । এই হাসপাতালে নাক-কান-গলা রোগের চিকিৎসা ও অপারেশন করা হয় ।
এ ছাড়াও জন্মগত মুগুর-পা, বাঁকা-পা, ঠোঁটকাটা, তালুকাটা রোগের অপারেশন করা হয় । অর্থোপেডিক সমস্যাজনিত শারীরিক ব্যথা, মাজা ব্যথা, মাথা ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয় ।
হাসপাতালে তিনজন মেডিকেল অফিসার, তিনজন নার্স, সাতজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টসহ মোট ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ২৪ ঘণ্টা থাকেন । এছাড়াও জরুরি রোগীদের জন একটি অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত থাকে। হাসপাতালটি ১২ শয্যার ।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?