মোঃ হাসনাইন আহম্মেদ, ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাশনে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় জেলা বাস শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার বিভিন্ন গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে পৌনে ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা ব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে গতকাল বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শহরে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যকার ঘটনায় উভয় পক্ষের কথা শোনেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় তারা উভয় পক্ষই যে যার স্থান থেকে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন এবং সবাইকে যে যার স্থান থেকে সড়কে সহঅবস্থান বজায় রেখে যানবাহন চালাতে আহ্বান জানানো হয়।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান সাংবাদিকদের বলেন, রোববার বিকেলে চরফ্যাশন উপজেলায় বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে ঝামেলার কারণে ভোলায় বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন বাস শ্রমিকরা।
আজ তাদের সবাইকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বাস শ্রমিকরা ঘোষণা দিয়েছেন সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক করবেন।
এদিকে ভোলা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নর সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান বলেন, একটি সুন্দর আলোচনা সভা হয়েছে।
আমাদের সবাইকে যে যার স্থান থেকে মিলেমিশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সোমবার সন্ধ্যা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে। আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।
এ সময় মতবিনিময় সভায় ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মিজানুর রহমান, নৌবাহিনীর ভোলা কন্টিনজেন্ট প্রতিনিধি ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল রহমান বাচ্চু,
জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান, জেলা সিএনজি মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘন্টা পর যথারীতি ফের শুরু হয়েছে ভোলার ৫টি অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও সিএনজি চলাচল। এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মাঝে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?