সোহেল রানা, সিংগাইর:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গ্রাহকের প্রায় ২ শত কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে ‘গ্রাম মানবিক উন্নয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি এনজিও।” ভুক্তভোগী এক গ্রাহক জানান, ব্যাংক দেওলিয়া হয়ে যাবে বলে ব্যাংকের প্রতি আস্থা ছিলো না। এজন্য ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস থেকে ৪৮ লাখ টাকা তুলে এনজিওতে রেখে আজ সর্বশান্ত হয়েছেন।
এঘটনায় রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা কর্মকর্তাদের অফিসে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এনজিও মালিকদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, ১ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ২ শত কোটির উপরে আমানত নেয় এনজিওটির মালিক জামসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান, মো. আমজাদ হোসেন, মো. উজ্জ্বল ও মো. হাবিবুল্লাহ। মো. হাবিবুল্লাহ মারা গেলে তার স্ত্রী সেটি পরিচালনা করেন।
গ্রাহক কুয়েত প্রবাসী মো. মিলন হোসেন জানান, ১৫ বছর বিদেশে কষ্ট করে টাকা জমাইছি। ৪৮ লাখ টাকা এই এনজিওতে জমা রাখছিলাম। এখন তারা আমাকে শুধু ঘুরাইতাছে। টাকা না পাইলে আমি পথে বসবো।
আরেক ভুক্তভোগী নারী জানান, আমার ২০ লাখ টাকা জমা নিয়েছে। প্রবাসী স্বামী টাকা তুলতে না পেরে এখন আমাকে ছেড়ে গেছে। ছেলেটাকেও টাকার জন্য বিয়ে করাতে পারছি না।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, একাধিকবার টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয়ার পরও কোনো টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। তাই তারা আর কোনো আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা দ্রুত বিচার এবং টাকা উদ্ধারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এদিকে এনজিও পার্টনার মো: উজ্জ্বল মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানান, তাদের এক বছরের সময় দিতে। উজ্জ্বল আশ্বাস দেন, সময় পেলেই সকল গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?