সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে সরাসরি চলাচলের দাবিতে রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে সড়ক ও রেলপথে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। এদিন সন্ধ্যায় মশাল মিছিলেরও কর্মসূচি রয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন ধরে পাটগ্রাম উপজেলায় রেলপথ অবরোধের পর এবার সড়ক অবরোধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, গত বছরের ১২ মার্চ চালু হওয়া বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি নামে বুড়িমারীর হলেও এটি লালমনিরহাট থেকে ঢাকা রুটে চলাচল করায় আদিতমারী,
কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার লাখো মানুষ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন। ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চালু করলে স্থানীয় যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে বলে মত তাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন পরিষদের সমন্বয়ক সাহেদুজ্জামান কোয়েল বলেন, “রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ গত ১৪ এপ্রিলের মধ্যে ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চালুর আশ্বাস দিলেও কোনো অগ্রগতি নেই। অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ অসমাপ্ত রাখা হয়েছে।”
তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৪ বছর আন্দোলনের পর অর্জিত এই ট্রেনের সুবিধা থেকে স্থানীয়রা বঞ্চিত হচ্ছেন। সমন্বয়ক ফারুক হোসেন নিশাত, শামসুল আলম বুলেটসহ অন্য নেতারাও অবিলম্বে দাবি পূরণের তাগিদ দেন।
অবরোধের সমর্থনে পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল বলেন, “একটি মাত্র উপজেলার সুবিধার জন্য পুরো জেলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” পাটগ্রাম সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এটিজেড সিদ্দিকী কাকন অভিযোগ করেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি কাগুজে রয়ে গেছে।
৬ দিন ধরে রেলপথ অবরোধের ফলে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটের চার জোড়া ট্রেন বন্ধ রয়েছে। যাত্রী আলী আকবর (৫৫) জানান, ট্রেন বন্ধ থাকায় যাতায়াত ব্যয় বেড়েছে, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে।
পাটগ্রাম ইউএনও জিল্লুর রহমান ও রেলওয়ে কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন উভয়েই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবস্থা জানানোর কথা স্বীকার করেন।
আন্দোলনকারীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে দাবি না মানলে সড়কপথেও অবরোধ চালু হবে। তারা দলমত নির্বিশেষে সকলের সমর্থন কামনা করেছেন। চলমান এই সংকটে স্থানীয় জনজীবন ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?