রবিউল ইসলাম, বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীরা।
১৭ বছর নানা জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়নি। ছাত্রত্ব বাতিল, জেল-জুলুম-গুমের স্বীকার হয়েছিল অনেক ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবুও তারা তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবিচল ছিল।
সর্বশেষ জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রদলের হাজারো নেতা-কর্মীর রক্ত ঝরেছে বলেই হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এ সময় মীর শাহে আলম আরো বলেন, ১৭ বছর ধরে নানা জুলুম নির্যাতন সহ্য করে যে ভোটাধিকারের আন্দোলন করেছে বিএনপি। সে আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি। একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সংস্কারের ধুয়া তুলে নির্বাচন বিলম্বিত করার পায়তারা মেনে নেয়া হবে না।
প্রথম সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছিল জননেতা তারেক রহমান। তাই সংস্কারের অজুহাত বিএনপিকে দিয়ে লাভ নাই।
সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদলকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। এসময় নির্বাচন আদায় না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের আন্দোলনে থাকার আহবান জানান প্রধান অতিথি।
এনসিপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কয়েকদিন হয়নি দল গঠন করে নানা দু্র্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
অথচ, স্বাধীনতার পর থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একটি টাকার দুর্নীতি কেউ বের করতে পারেনি। তাই বাংলাদেশ একমাত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ।
আজ ২৪.০৪.২৫ ইং বৃহস্পতিবার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল আয়োজিত কর্মী সভায় তিনি এ বক্তব্য রাখেন। এসময় ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর শাকরুল আলম সীমান্ত।
দীর্ঘ কয়েক বছর লন্ডন থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন শেষে দেশে ফেরায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মীর সীমান্তকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি বিপুল রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মীর মুহাইমিনুর মুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওহাব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম তাজুল ইসলাম,
সাংগঠনিক সম্পাদক মাষ্টার হারুনুর রশিদ, পৌর বিএনপির সভাপতি বুলবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি খালিদ হাসান আরমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ জোবায়ের,
সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হক আক্কাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাসুম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল হক রনি, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল রাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক তারেক হাসান মিলু,
পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শাহিনুর ইসলাম আলামিন, সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসান, পৌর যুবদল সভাপতি আবু শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান তমাল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সুজন, মহিলা দল সভানেত্রী মিনেরা বেগম, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আক্তার, খাদিজা আক্তার প্রমুখ।
এসময় ছাত্রদলের ১৩ টি ইউনিটের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকসহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্হিত ছিলেন।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?