নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় গোমনাতী বাজারে গোমনাতী মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ মিজান আহমেদকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার রাতে মিজান বাদী হয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে মব জাস্টিস তৈরী কারী গ্রিন স্টার একাডেমির অধ্যক্ষ রকিবুল ইসলাম বাবুকে প্রধান আসামী করে ৮ জন বাদী ও অজ্ঞাত নামা ২৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে গত শনিবার গোমনাতী মডেল একাডেমির এক স্কুল ছাত্রীর উপর ধর্ষনের অভিযোগ এনে গোমনাতী মডেল একাডেমি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজান আহম্মেদকে কয়েকজন যুবক টেনে হিচড়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে এনে মারধর শুরু করে।
মারধর করলে স্থানীয় কয়েকশ জন আশপাশ থেকে জড়ো হয়।তাদের সামনে মব জাস্টিস তৈরী করে ঐ শিক্ষককে বস্ত্রহরণ করা হয়, মাথার চুল কেটে রং মাখিয়ে দেওয়া হয়, গলায় জুতার মালা পড়িয়ে বাজারে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো হয়।
বেধড়ক মারপিট করে মব জাস্টিস সৃষ্টি করে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।পুরো ঘটনাটি হামলাকারী সহ কয়েকজন মোবাইলে ধারণ করে এবং মারধরের ঘটনাটি লাইভ দেখানো হয়।ঐ শিক্ষককে স্কুলছাত্রীর ধর্ষন প্রমানের অপচেষ্টাও করা হয়।
অতঃপর ডোমার থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে ঐ শিক্ষককে উদ্ধার করতে অনেক বেগ পেতে হয় এবং পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে ভিকটিম শিক্ষার্থী ও তার মা থানায় গিয়ে ঘটনা মিথ্যা এবং সাজানো জানায় তার মেয়েকে মিথ্যা কথা সাজিয়ে সম্মানহানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।পুলিশের কাছে ভিকটিমের পরিবার পুরো ঘটনাটি বলায় ঐ প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
অতঃপর গত রবিবার রাতে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মিজান আহম্মেদ অপর এক কিন্ডার গার্ডেন স্কুল (গ্রীন স্টার একাডেমি)’র প্রধান শিক্ষক আরিফ হোসেন মোস্তাজিরকে ১নং আসামি এবং হুকুম দাতা উল্লেখ করে আক্কাস আলী, লিটন, মিজান,
ফারুক, মমিনুল, নুর আলম ও হৃদয়ের নাম উল্লেখ করে ৮ জনের নাম এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মব জাস্টিস সৃষ্টি অভিয়োগে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৭, তারিখ- ২০/০৪/২০২৫।
এবিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম জানান, গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে (২০ এপ্রিল) গোমনাতী মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ মিজান আহমেদ একটি মামলা দায়ের করা হয়।মামলায় উল্লেখকৃত আসামিরা পলাতক থাকলেও গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?