সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
“দুদকের কি সব সুনাম? আমাদেরও বদনাম আছে। সেগুলো আপনারা দেখিয়ে দিন, জানিয়ে দিন!” লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৭৩তম গণশুনানিতে এমন মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
‘সবাই মিলে গড়ব দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’ স্লোগানে আয়োজিত এই শুনানিতে স্থানীয় সরকারি দপ্তরের সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের ১০৬টি অভিযোগ তদন্ত করা হয়।
গণশুনানির প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোমেন বলেন, “সরকারি কেনাকাটা ও নির্মাণখাতে দুর্নীতির ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। টেন্ডার প্রক্রিয়া ঠিকাদারবান্ধব হলে দুর্নীতি বাড়ে।
আমাদের স্পেসিফিকেশন সঠিকভাবে মেনে টেন্ডার করতে হবে।” তিনি জনগণকে দুদকের ত্রুটিগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে যোগ করেন, “আমরা যদি নিজেরা সংশোধন না হই, অন্যকে কীভাবে শুধরাব?”
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগকারীরা সরাসরি তাদের সমস্যা উপস্থাপন করেন। ভূমি অফিস, পুলিশ, পৌরসভা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা প্রাপ্তিতে বাধা, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
দুদক প্রতিটি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে।
শুনানির আগে সপ্তাহজুড়ে মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ ও অভিযোগ বাক্স স্থাপনের মাধ্যমে গণসচেতনতা তৈরি করা হয়। কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী বলেন, “জবাবদিহিতা বাড়াতে এমন আয়োজন নিয়মিত করা হবে।”
জেলা প্রশাসক এইচ.এম. রকিব হায়দারসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য, সরকারি দপ্তর প্রধান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
চেয়ারম্যান ড. মোমেন শেষে ঘোষণা করেন, “অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?