কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৩ বছরের শিশুকন্যার কান্নাকে কেন্দ্র করে ‘অপহরণকারী’ সন্দেহে এক বাবাকে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছে। রোববার কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের তাতারকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া সওদাগরপাড়ার সোহেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে প্রতিবেশী সাবিনা আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়েছে ১০ বছর আগে। এ দম্পতির তিন সন্তান। কিছুদিন আগে সোহেলকে তালাক দেন সাবিনা। সন্তান রয়ে যায় বাবার কাছে।
তিন বছর বয়সী রাইসা মায়ের কাছে যেতে অস্থির। রাইসার জন্য স্ত্রীর খোঁজে বের হন সোহেল। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে রাইসাকে নিয়ে সোহেল একই জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করার সময় মায়ের জন্য কান্না করছিল রাইসা।
শিশুটির কান্না দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে অপহরণকারী ভেবে সোহেলকে বেঁধে বেধড়ক পেটান তারা।
রামদী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন জানান, শিশুটি কান্না করছিল দেখে স্থানীয়রা অপহরণকারী সন্দেহে ভুল করে তাকে মারধর করেছে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল আলম শামীম বলেন, সোহেল আগে নানা অপরাধে জড়িত থাকলেও এখন সে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। সোহেল ও তার মেয়েকে রাতে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?