পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। এবারের আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ১০১ প্রকার দেশীয় ফল, পিঠা, মিষ্টান্ন ও শরবতের ব্যতিক্রমী ‘বাঙালি আপ্যায়ন’ উৎসব। সোমবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে শহরের গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এ উৎসব।
উৎসবে অংশ নেন শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সবাই সেজে এসেছেন লাল, সবুজ, কমলা ও হলুদ রঙের পোশাকে। পুরুষদের পাঞ্জাবি, নারীদের শাড়ি, হাতে রঙিন চুড়ি ও মাথায় ফুলের মালা আর শিশুদের মুখে উচ্ছ্বাস মিলিয়ে পুরো মাঠ ছিল উৎসবমুখর।
গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণে রঙিন প্যান্ডেলে সাজানো হয় ২৫ ধরনের পিঠা, ৪৫ ধরনের দেশীয় ফল, ২০ ধরনের মিষ্টান্ন ও ১১ ধরনের শরবত। দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, নকশি পিঠা, ঝাল পিঠা থেকে শুরু করে আনারস, পেচি গাব, ডুমুর, চালতা, আতা, বেতফল ও টকফল—সবই ছিল পসরা জুড়ে। মিষ্টির আয়োজনে ছিল রসগোল্লা, রসমালাই, চমচম, কালজাম ইত্যাদি। বেলের রস, তালের রস ও খেজুরের রসও ছিল বিশেষ আকর্ষণ।
অতিথিরা হাতে মাটির বাসনে খাবার নিয়ে নির্ধারিত আসনে বসে উপভোগ করেন এই বাঙালি ঐতিহ্যের স্বাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরামের আহ্বায়ক এস এম ছাইদুল ইসলাম কিসমত। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আলম খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।
ফোরামের সদস্য সচিব নাসির আহম্মেদ বাচ্চু বলেন, “আমরা বাংলা নববর্ষকে ঘিরে বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রয়াসে ১০১ ধরনের খাবার দিয়ে এই উৎসব করেছি। ভবিষ্যতেও এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন অব্যাহত রাখতে চাই।”
এ আয়োজন পিরোজপুরবাসীর কাছে নববর্ষ উদযাপনের এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা বাঙালিয়ানা ও ঐতিহ্যের সম্মিলনে হয়ে উঠেছে অনন্য।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?