গান, কবিতা ও আনন্দ শোভাযাত্রায় বরণ করে নেওয়া হচ্ছে বাংলা নতুন বছরকে। তবে শুধু দেশের মানুষ নয়, নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে উঠেছেন বিদেশি শিক্ষার্থী ও পর্যটকরাও।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। এতে জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানিসহ নানা দেশের পর্যটকদের অংশ নিতে দেখা গেছে।
শোভাযাত্রায় আসা বিদেশিদের মধ্যে কেউ গলায় বাঁশি ঝুলিয়ে বাজাচ্ছেন, কেউ আবার লাল-সাদা শাড়ি-পাঞ্জাবিতে বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নিয়ে বিদেশি পর্যটকদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
শোভাযাত্রায় আসা রাশিয়ার একজন নাগরিক বলেন, এটি আমার জীবনের সেরা কালচারাল এক্সপেরিয়েন্স। সব কিছু অসাধারণ। শুভ নববর্ষ।
আরেক বিদেশি পর্যটক বলেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাঙালি সংস্কৃতির উদযাপন দেখে আমি মুগ্ধ। খুবই ভালো লাগছে। নববর্ষের শুভেচ্ছা।
শোভাযাত্রায় এ বছর ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় রয়েছে ৭টি বড় মোটিফ, ৭টি মাঝারি মোটিফ এবং ৭টি ছোট মোটিফ।
এদিকে, নববর্ষের উৎসব ঘিরে সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান। সেই সঙ্গে বৈশাখী উৎসব ঘিরে অপপ্রচার রোধে সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?