নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার বারহাট্রায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাগ্নের রামদার কোপে মেহেদী হাসান খান (২৯) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে।
রবিবার রাতে উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মেহেদীর অবস্থা অসংখ্যজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মেহেদী হাসান খান উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত মিরাজ খানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহেদি হাসানের ফুফুর দেওয়ানের মা তার পৈতৃক সম্পত্তি ওয়ারিশের জমি অপর এক ভাই সুরুজ খানের কাছে বিক্রি করেন।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেওয়ানের মা’র ছেলে রাজ্জাক মিয়া, দেওয়ান মিয়া, জাহেদ মিয়া, শাহেদ মিয়া ও একমাত্র মেয়ে মজিদা আক্তার তাদের অপর মামা মিরাজ খান কাছে ওয়ারিশ হিসেবে সম্পদ দাবি করে আসছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকে।
তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা সম্পদ দখল করতে না পেরে রাজ্জাক মিয়া তার ভাগ্নে হুমায়ুন মিয়া ও মজনু মিয়া কে দিয়ে মিরাজ খানের ছেলে মেহেদী হাসান খান এর কাছ থেকে কিছু জমি বাৎসরিক ফসলের জন্য এককালীন টাকার মাধ্যমে জমা নেন।
মেহেদী তাদের ওই জমি গুলোর জামার টাকা চেয়ে আসছিলেন। পরে তিনি টাকা না দিয়ে তাদের মামার সম্পদ বলে দখল করার চেষ্টা করেন। জমা টাকা না পেয়ে তাদের জন্য দখলমুক্ত করার চেষ্টা করেন।
রাজ্জাক মিয়ার ভাগ্নে হুমায়ুন ও মজনু মিয়া ক্ষিপ্ত হয় রবিবার রাতে মেহেদির উপর হামলা করে গুরুতর আহত। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মেহেদীর অবস্থা অসংখ্যজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দেওয়ানে মা’র জমি ক্রয়কারী সুরুজ খানের ছেলে হানিফ মিয়া জানান, তাদের ফুফুর ওয়ারিশের জমি তার বাবা ক্রয় করেছে। হুমায়ুন হানিফের কাছ থেকে জমি জমা নিয়ে মাছ চাষ করে।
কিন্তু এখন শুনছি সেই জমিটি তার নানুর ওয়ারিশের জমি হিসেবে দাবী করে দখল করে আছে। এ নিয়ে রবিবার রাতে হানিফের উপর হামলা করেছে।
আহত মেহেদি হাসান খান বলেন, আমার ফুফুর দেওনের মা তার ওয়ারিশের সম্পদ আমার চাচা সুরুজ খানের কাছে বিক্রি করেছেন। এখন আমার ফুফাতো ভাই রাজ্জাক মিয়া, দেওয়ান মিয়া, জাহিদ মিয়া, শাহেদ মিয়া ও সানজিদা আমার বাবার সম্পত্তিতে ওয়ারিশ দাবি করে।
তারা জমি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে কৌশলে তার ভাগ্নাকে দিয়ে আমার কাছ থেকে জমিগুলো জমা নেয়। জমার টাকা চাইলে দিয়ে দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করে। এখন তারা ওয়ারিশের সম্পদ হিসেবে দাবী করে। পরে জমি দখলমুক্ত করতে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে।
অভিযুক্ত হুমায়ুনের নাম্বারের একাধিকবার ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বারহাট্টা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, মারপিটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?