আমজাদ শিবলু: নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বিয়ের মাত্র চার মাসের মাথায় যৌতুকের দাবিতে চুমকি আক্তার (১৭) নামে এক নববধূকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চুমকি আক্তার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের কমর উদ্দিন কবিরাজ বাড়ির মালয়েশিয়া প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুমকির বিয়ে হয় চার মাস আগে সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আল আমিন সাজুর সঙ্গে। বিয়ের সময় জামাইকে সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়।
পরে আল আমিন আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে চুমকির পরিবার তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে চুমকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা চালানো হয় বলে অভিযোগ নিহতের পরিবাবের।
চাচা মামুন সাংবাদিকদের জানান, যৌতুক না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে চুমকিকে হত্যা করা হয়েছে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মো. আল আমিন সাজু ও তার মা মেহের আফরোজকে আটক করেছে। সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম. মিজানুর রহমান বলেন, “নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?