আক্কাছ আলী মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ও বাংলাবাজার ইউনিয়নের রাস্তাটি বানিয়াল চরবাংলাবাজার থেকে শুরু হয়ে দিঘীরপাড়ের পশ্চিম রাখি লিটুখার বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সংযোগ রাস্তা।
পূর্ব পাশে ২১০০ মিটার রাস্তা ইটের সলিং এবং পশ্চিম পাশে প্রায় ৬০০ মিটার আরসিসি রাস্তা।মাঝখানে ৩০০ মিটার কাচা রাস্তাটি যেন স্থানীয়দের মরণ ফাঁদ।
জানাগেছে,বাংলাবাজার,ইউনিয়ন চরবাংলাবাজার,বানিয়াল,ভারচর,কুমিল্লার মতলবের নাসিরাচর,শিলই ইউনিয়ন প্রায় ৬ টি গ্রামের লোকজন এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ হাজার লোক চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যুগের পর যুগ ধরে।এই রাস্তাটি মাঝখানে ৩০০ মিটার কাঁচা রাস্তাটি বাদ রেখে ওই রাস্তাতে কয়েক মাস আগে ইটের সলিং করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ হয়ে জলিল আহমেদ বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি এই মাঝখানের ৩০০ মিটার রাস্তাটি করে না দিলে শিলই ইউনিয়ন থেকে আমাদেরকে বের করে দেওয়া হোক।
বানিয়াল,চরবেহেরপাড়া গ্রামের বদিউজ্জামান মোল্লা, খোরশেদ আলী বেপারী ও আল-আমিন অনেকেই বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করছি, যার কারণে বছরের পর বছর পার হলেও গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তাটিতে লাগেনি আধুনিকতার কোন ছোঁয়া,কিন্তু এ বছর প্রায় সড়কটি ইটের সলিং শেষ করেও মাঝখানে অল্পটুকু রাস্তাটি আমাদের যেন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাবাজার ইউনিয়নের শরিফুল কসাই বলেন, ঈদের দিনে গরুর চামড়া বিক্রি করতে বাজারে যাওয়ার সময় কাঁচা রাস্তাটির স্থানে মিশুক উল্টিয়ে আমি আমার কানে আঘাত পেয়েছি।
মাঝখানের এই কাঁচা রাস্তাটুকু প্রায় ঘটে দুর্ঘটনা, এখান দিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল এবং অটো মিশুক চলে। স্থানীয়দের দাবি মাঝখানের ৩০০ মিটার রাস্তাটি যেন দ্রুত ইটের সলিং করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আহসান বলেন, রাস্তাটির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে জানানো হবে
এ বিষয়ে জানতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান কে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?