আক্কাছ আলী, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গজারিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আব্দুল বাতেনের ছেলে রবিউল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
হামলায় ২০-২৫ জন লোক অংশে নেয় এবং তাদের অধিকাংশের হাতে অস্ত্র ছিল। তারা রবিউল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
হামলাকারীদের বাধা দিতে তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার এবং শ্যালক শাহেদ এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলায় আহতরা হলেন- গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), রবিউলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৫), শ্যালক সাহেদ প্রধান (২৩)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী মামুন গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সংঘর্ষে আহত সাহেদ বলেন, শনিবার সকাল থেকেই হামলাকারীরা আমার দুলাভাই রবিউল ইসলামের ওপর নজর রাখতে থাকে।
সকাল সাড়ে আটটার পর তিনি নাস্তা খাওয়ার জন্য বাড়িতে ঢুকলে প্রতিপক্ষ মামুনের নেতৃত্বে সোহাগ, সুমন, মামুন, জয়, বাবু, আমিরুল মেম্বার, হামিম-সহ অন্তত ২০-২৫জন সন্ত্রাসী চারদিক থেকে তার বাড়িঘর ঘিরে ফেলে।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুজনের হাতে পিস্তল এবং তিনজনের হাতে শটগান ছিলো। বাকিদের হাতে রামদা, বগিদা ও লোহার পাইপ ছিলো। তারা প্রথমেই আমার দুলাভাই রবিউল ইসলামকে ঘর থেকে টেনে বের করে উঠানে নিয়ে বগিদা দিয়ে কোপানো শুরু করে।
তাকে বাঁচাতে আমার বোন এবং আমি এগিয়ে গেলে আমাদেরও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়া আহত করা হয়। আমার দুলাভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়। দায়ের কোপে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে হামলাকারী মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খন্দকার আরশাদ কবির বলেন, এই ঘটনায় আহত তিনজন রোগীকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিউল ইসলামের দুই হাতসহ গায়ের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। সোনিয়ার ডান হাতে আঘাত রয়েছে। অন্যদিকে আহত অপরজন সাহেদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, একটি খবর আমি পেয়েছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি এখন শান্ত। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?