আলমগীর চৌধুরী রনি (চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি) : চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্র মামলায় আবুল কাশেম (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা জজ-১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বর এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কাশেম দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের মোহাম্মদ সরদারের ছেলে।
এ মামলার অপর আসামি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খেজুরা গ্রামের মৃত মহর আলী ছেলে জয়নালকে (৪৫) খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৫ মে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা র্যাব ক্যাম্পের ডিএডি আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম সদর উপজেলার আলুকদিয়া এলাকায় টহল ডিউটি করছিলেন।
এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা থেকে একটি আলমসাধুযোগে দু’জন ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে মেহেরপুরের দিকে যাচ্ছেন।
ওই সংবাদের ভিত্তিতে আলুকদিয়া বাজারের ইউনুছ আলী মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর আলমসাধুযোগে দু’জনকে ব্যক্তিকে আসতে দেখে গতিরোধ করা হয়।
এ সময় তাদের দু’জনকে আটক করে দেহ তল্লাশি করে আসামি আবুল কাশেমের কোমর থেকে একটি দেশে তৈরী শুটারগান ও ৩০৩ রাইফেলের একটি গুলি চেম্বারে লোড অবস্থায় জব্দ করা হয়। এছাড়াও ওই সময় একটি হাতুড়ি ও একটি লোহার সাবল জাতীয় লম্বা ১৪ ইঞ্চি পাইপ জব্দ করা হয়।
এ সময় তার সাথে থাকা জয়নাল আসামি আবুল কাশেমের সহযোগী বলে জানা যায়। এ ঘটনার আসামি আবুল কাশেমকে প্রধান আসামি ও জয়নালকে সহযোগী হিসেবে জব্দকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় র্যাব ক্যাম্পের তৎকালীন ডিএডি আফজাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন ধরে এ মামলা আদালতে চলমান থাকার পর ৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেমকে অস্ত্র আইনে ১৯ ধারায় ৭ বছর ও ১৯ (এ) ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।
এছাড়া মামলার অপর আসামি জয়নালকে খালাস দেয়া হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে এড.মানজারুল হক জোয়ার্দার হেলাল এবং আসামিপক্ষে এড.ফজলে রাব্বী সাগর ও এড. এনামুল কবীর কৌসুলী ছিলেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?