সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী হামলা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে লালমনিরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় ব্যাপক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় জনতা, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ একযোগে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতৃত্বে সদর উপজেলায় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে মিলিত হয়। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-বয়সের মানুষের উপস্থিতিতে এই মিছিলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
ও তার সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলা হয়। বক্তারা বলেন, “ফিলিস্তিনি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
আদিতমারী:
আদিতমারী উপজেলায় ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে কোর্ট জামে মসজিদ থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধ ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো ভূমিকা চান।
কালীগঞ্জ:
কালীগঞ্জে “গাজাবাসীর নিরাপত্তা চাই, ইসরায়েলি হামলা বন্ধ কর” স্লোগানে মুখরিত হয় উপজেলা সদর। বিক্ষোভকারীরা হাতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন। এতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ ও যুদ্ধবিরোধী আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়।
হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম:
হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলায় স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা নিরীহ ফিলিস্তিনি শিশু-নারী-বৃদ্ধদের জীবন রক্ষায় জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়।
সকল সমাবেশে বক্তারা মুসলিম বিশ্ব ও জাতিসংঘকে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন। তারা বলেন, “ফিলিস্তিন ইস্যুটি কোনো ধর্মীয় সংঘাত নয়, এটি মানবতার প্রশ্ন। বিশ্ব নেতৃত্বকে অবশ্যই ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।”

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?