ফয়সাল হোসাইন সনি, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি’র) অভিযানে ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ কিশোর গ্যাংয়ের ০৬(ছয়) জন সদস্য ০২ (দুই) টি বার্মিজ চাকুসহ আটক হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল আনুমানিক ৩ টা ৩০ মিনিটে বগুড়া সদর থানাধীন জলেশ্বরীতলা এলাকার জেলখানা মোড়ে অবস্থিত ফ্রেস জুস বারের সামনে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি
ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং অনলাইন পোর্টাল বগুড়া লাইভের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আসাফুদৌলা নিয়ন ও তাঁদের সঙ্গে থাকা তৌফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারপিট ও লাঞ্চিত করে।
তারই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তি ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইং ০৬/০৪/২০২৫ তারিখ ১১ টা ৪৫ মিনিটে জেলার শাজাহানপুর থানাধীন বনানী এলাকা হইতে উক্ত ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২২) কে আটক করা হয়।
এ সময় তার সাথে থাকা অন্যান্য সহোযোগী আসামী শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম উত্তর পাড়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান রকি (২৫), শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম নতুন পাড়া হারুনুর রশিদের ছেলে
তারিকুল ইসলাম (২২), শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম নতুনপাড়া এলাকার জিন্নাহ খানের ছেলে জিসান খান (২১), শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম সারিয়াকান্দি পাড়া এলাকার মৃত মিলন হোসেনের ছেলে জিহাদ (২০), সদর উপজেলার মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলা এলাকার আনারুল সরকারের ছেলে টুটুল (২০) কে গ্রেফতার হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে ০২(দুই) টি বার্মিজ চাকু, ০২(দুই) টি মোটর সাইকেল, ০৩ (তিন) টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্যঃ গ্রেফতারকৃত আসামী রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২২), এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে হত্যা, মাদকসহ ০২টি মামলা এবং গ্রেফতারকৃত আসামী হাবিবুর রহমান রকি (২৫), এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অস্ত্র, ডাকাতির প্রস্তুতি, হত্যা চেষ্টা, মাদক আইনে সর্বমোট ০৬ টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মারপিটের ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।
৭ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?