গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের ঝড়। সর্বস্তরের মানুষ গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর চালানো গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজপথ।
ছাত্রসংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ এক কণ্ঠে স্লোগান তুলেছে—“গাজায় গণহত্যা বন্ধ কর”, “ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে বাংলাদেশ”, “ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান চাই”। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, কলেজ প্রাঙ্গণে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বালন, বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন দেখা গেছে।
ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব, শাহবাগ, এবং ধানমণ্ডি এলাকাগুলোতে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার—যেখানে লেখা ছিল “গাজা রক্তে রঞ্জিত”, “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধ কর”, “চোখে চোখ রেখে বলো—তোমার বিবেক কোথায়?”।
এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। অনেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার প্রতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে বাংলাদেশিরা। #FreePalestine, #StandWithGaza, #StopGenocideInGaza হ্যাশট্যাগগুলো দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ছবি, ভিডিও ও মতামত শেয়ার করছেন।
প্রতিবাদকারীরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের পক্ষে আরো শক্ত অবস্থান নেওয়া হোক। একইসাথে, জাতিসংঘ ও ওআইসি সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণের এই সোচ্চার অবস্থান প্রমাণ করে যে মানবতা, ন্যায্যতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে তারা কখনো পিছপা হয় না। গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে এই গণআন্দোলন একটি বৃহত্তর বিশ্ববোধেরই অংশ—যেখানে নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ানোকে দায়িত্ব বলে মনে করে সবাই।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?