ভারতে মোদী সরকার সম্প্রতি একটি বিতর্কিত আইন পাস করেছে, যার মাধ্যমে মুসলমানদের ‘ওয়াক্ফ’ সম্পত্তি পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে এসব সম্পত্তিতে সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা মুসলমানদের ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
এছাড়া, ভারতে হিন্দু মন্দির পরিচালনা কমিটিতে অন্য ধর্মের ব্যক্তিদের স্থান না দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেক্ষেত্রে, ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, “তাহলে কেন মুসলমানদের সম্পত্তি পরিচালনায় অন্য ধর্মাবলম্বীদের স্থান দেওয়া হবে?
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি তার পোস্টে এই আইনকে ভারতের মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর ক্রমাগত বৈষম্য ও নিপীড়নের নতুন অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া, তিনি আরও বলেন, এটি সেই গোষ্ঠীর দ্বৈত মানদণ্ডেরই প্রকাশ, যারা ভারতীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য আর নিপীড়ন চালাচ্ছে, অথচ একই গোষ্ঠী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ভূয়া অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার শিকার হচ্ছে।
এই আইনটি ভারতে সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্রমাগত বৈষম্য এবং তাদের অধিকার হরণ করার একটি নতুন উদাহরণ হতে পারে, যা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?