নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি কর্মী গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ ২০২৫) রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত বিএনপি কর্মী শরিফুল ইসলাম সুজাতের (২৭) বাবা মো. আরজেল আলী (৬২) বাদী হয়ে লালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক পলাশ (৫৫), লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আফতাব হোসেন ঝুলফু (৬৫), লালপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. খালিদ হোসেন সরল (৩৮), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. রবিউল ইসলাম ভলকাস (৪৫)সহ নামীয় ৪২ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সংঘর্ষের পর রামকৃষ্ণপুর গ্রামে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. খায়রুল বাসার ভাদুর ছেলে আরাফাত হোসেন লিপু, মো. জরিফুল ইসলাম জরিফের ছেলে মো. দ্বীপ ইসলাম (২৫), মো. আব্দুল কাদের পটু, পলাশ চেয়ারম্যানের ট্রাকের চালক মৃত সিরাজুল মন্ডলের ছেলে মো. আবু সাদাত (৩৮), রুপক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আফতাব হোসেন ঝুলফুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান মুন (৩২) ও মো. আব্দুল কাদের পটুর ছেলে মো. মিজানুর রহমান পল্টন (৩২)।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ ২০২৫) উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর চিনিবটতলা ঈদগাহ এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?