মো. হাসনাইন আহমেদ ভোলা:
প্রতি বছরের ন্যায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ ঈদ পালন করছেন ভোলার ৫ হাজার মানুষ।
রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও চট্রগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও চট্রগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা জানান, জেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৫ হাজার অনুসারী রয়েছে তাদের। তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রেখেছেন এবং সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ ঈদ পালন করছেন।
তবে জেলায় ৫ অনুসারীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুসারী রয়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। এই উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রামেই রয়েছে তাদের প্রায় ৩ হাজার অনুসারী।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামের বাসিন্দা সুরেশ্বরী দরবার শরীফের অনুসারী মো সুমন মিয়া, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ তারা ঈদ পালন করছেন। সকাল ৯টায় ওই গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়ির দরজায় তাদের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারী এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুলাইপত্তন গ্রামের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ি দরজা জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছরের মত এবছরও তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা রেখেছেন এবং সকালে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভোলা সদর উপজেলা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ১৪টি গ্রামে সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারীরা ঈদ পালন করছেন।
এদিকে ঈদ পালন করা অনুসারীরা বলছেন, সারা বিশ্বের মুসলমানরা একই সময় রোজা ও ঈদ পালন করা উচিত। তাদের মতে তারাই সঠিক সময়ে রোজা ও ঈদ পালন করছেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?