সজিব রেজা, দিনাজপুর :
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি মোঃ সুজন মিয়া দিনমুজুর মোঃ আবুল হোসেন ও মোছাঃ শাহানা বেগমের এক মাত্র ছেলে । তার স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম : উত্তর মুরাদপুর, ডাক: দাউদপুর, উপজেলা : নবাবগঞ্জ, জেলা: দিনাজপুর ।
দাউদপুর আলিম মাদ্রাসায় জি পিএ ৫ পেয়ে পাশ করার পর দাউদপুর ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি এবং বিএসসি করেন।স্নাকত্তর করার জন্য ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান শাখায়। রাজনৈতিক দক্ষতা আর প্রজ্ঞা দিয়ে দলকে রেখেছেন সুসংগঠিত।
রাজনীতিতে সময় দেওয়ার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে তবুও লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন এই ছাত্রনেতা। জীবিকার তাগিদে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ ও নির্মাণ শ্রমিকের কাজ । পাশাপাশি ২ বছর থেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চিনি সেমাইয়ের ভ্রাম্যমাণ দোকান দিয়ে আসতেছেন । নিজের কঠোর পরিশ্রমের টাকা থেকে ব্যয় করেন মানবিক কাজেও।
সুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুজনের পরিবারে সদস্য সংখ্যা চার জন। তার পরিবারে বাবা মা সুজন আর একমাত্র বোন আছে। এ চার জনের সংসারের বর্তমানে হাল ধরেছে সুজন । বাবা মা অসুস্থ তাদের চিকিৎসা ঔষধ একমাত্র বোনের পড়শানার খরচ জোগাতে হয় সুজনকে। সুজনের বোন বর্তমানে ফাজিলে (স্নাতক)পড়াশোনা করছেন।
অভাবের সংসারের ঘানি টানার পাশাপাশি সময় দেয় রাজনীতিতে,শত ব্যস্ততার মাঝেও সংগঠনের মিছিল মিটিং এ নিয়মিত উপস্থিতি হয় কর্মীদের নিয়ে। পাশাপাশি পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে মাস্টার্স শেষ পর্বে। কর্ম হিসেবে ইটভাটায় শ্রমিক এবং নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে। তবে প্রতি বছর ইদুল ফিতর তথা রমজানের ঈদের আগে চিনি সেমাই এর ব্যবসা করে সুজন। এতে যা রোজগার হয় তার কিছু অংশ তার আশপাশের গরিবদের মাঝে বিতরন করে।
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মোহায়মিনুল ইসলাম মিনু বলেন,সুজনের মত রাজনৈতিক আদর্শ এ সমাজে খুব কম ছাত্র নেতার রয়েছে। এরকম পরিচ্ছন্ন রাজনীতি এস মাজে পরিচালিত হোক এমনটা প্রত্যাশা করি। পরিবারের বোঝা টানিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতি করতে পারা ভাগ্যের বিষয়। তার মত কর্মী দলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে বলে মনে করি।
এই এলাকার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান রাসেল সুজনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সুজন একজন ছাত্রদলের নিবেদিত কর্মী তার পাশে দাঁড়ানো উচিৎ আমাদের এ বিষয়ে আমি কেন্দ্রে জানাবো সুজনের মত ত্যাগি কর্মীদের পাশে থাকতে হবে তার একটা স্থায়ী কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?