আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতের আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, এবারের ঈদ জামাতে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের জন্য স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে রাষ্ট্রপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিকগণসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, “গত বছরের মতো এবারও আমরা আধুনিক ও সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঈদ জামাত আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।”
শাহজাহান মিয়া আরও জানান, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে আবহাওয়া বা অন্য কোনো সমস্যার কারণে মুসল্লিরা নামাজ আদায়ে অসুবিধায় না পড়েন।
মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, “বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া, ওজু ও টয়লেটের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আরও জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ জরুরি স্বাস্থ্য সেবার জন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে সুপেয় পানির ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্র ও আরামদায়ক কার্পেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে মুসল্লিদের তাদের সঙ্গে কোনো জায়নামাজ বা পানি আনার প্রয়োজন নেই।”
মুসল্লিদের প্রবেশের জন্য দুটি এবং নির্বিঘ্নে বাহির হওয়ার জন্য পাঁচটি গেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, মহিলাদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক একটি গেট রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষাংশে মো. শাহজাহান মিয়া ঢাকা মহানগরবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি, যাতে মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরাপদে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। মহান আল্লাহর কাছে সবার ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার ঈদ জামাতের জন্য গৃহীত এই ব্যাপক প্রস্তুতি জনগণের জন্য স্বস্তি ও নিরাপত্তার বিষয় নিশ্চিত করবে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান ব্যবস্থা ঈদ জামাতকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়ক হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?