সোহেল রানা: সিংগাইর প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চালিতাপাড়া এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলের ওপর হামলা এবং তাদের নবনির্মিত ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: মোনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার খরিদকৃত সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী মো: আব্বাসের এর সঙ্গে বিরোধে লিপ্ত ছিলেন। গত ২৬ তারিখে, বিকেল ৫ টার দিকে, প্রতিপক্ষের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে শিক্ষকের নবনির্মিত বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার ঘরের চালের কাঠ,সিমেন্টের খুটি সহ স্থাপনা ভেংগে ফেলে এতে তার প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় বলে জানান। ঘর ভাংতে বাধা দিলে তারা শিক্ষকের ছেলে পল্লি চিকিৎসক মো: মাহবুবুর রহমান কে হাতুড়ি ও চ্যালা কাঠ দিয়ে আঘাত করে করে নিলা ফুলা জখম করে বর্তমানে তিনি সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন এবং শিক্ষক কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
আহত শিক্ষক মো: মনোয়ার হোসেন বলেন,আমি দীর্ঘদিন ধরে এই জমি ভোগদখল করে আসছি। প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আমি আমার জমিতে ঘর তুলতে গেলে তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বহিরাগত লোকজন ভাড়া করে নিয়ে এসে তারা আমার ও আমার ছেলের ওপর হামলা চালায় এবং আমার নবনির্মিত ঘর ভেঙে দেয়। আমি অসহায় নিরীহ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আমি এই অন্যায়ের ন্যায়বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মো: জয়নব আলী জানান, “আমরা হঠাৎ ডাক-চিৎকার ও ভাংচুরের শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখি, আব্বাসের নেতৃত্বে আনুমানিক ৫০/৬০ জন স্থানীয় ও বহিরাগত লোকজন হাতুড়ী,চ্যালা কাঠ,শাবল দিয়ে শিক্ষককের ঘর ভাংচুর করছে এবং কিছু লোকজন মনোয়ার মাষ্টার ও তার ছেলে কে মারধর করছে। আমরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু তারা আমাদের ভয় দেখায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্বাসের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন: আমি, আমার ছেলে,নাতি মিলে আমরা এই ঘর ভাংচুর করেছি।
শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাসু দেব সাহা বলেন: “আমরা ঘটনার সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে এবং সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?