মোঃ হাসনাইন আহমেদ, (ভোলা প্রতিনিধি):
ভোলার চরফ্যাসনের শশীভূষনে ঈদের কেনাকাটা করতে বাজারে আসা এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় শশীভূষণ মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
রোববার বিকালে শশীভূষণ থানা পুলিশ গ্রেফতার রফিকুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করেছে। রফিকুল এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী মোতালেফ মিয়ার ছেলে ও শশীভূষণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা মিয়ার ভাই। অপর দুই আসামির মধ্যে সুমন ওই ইউনিয়নের আবুল হোসেনের ছেলে ও স্বাধীন ওই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী শনিবার বিকেলে ঈদের কেনাকাটা করতে শশীভূষণ বাজারে যায়। এসময় মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেলে সে ব্যবসায়ী সুমনের দোকানে চার্জ দিতে যায়। ওই সময় সুমন ওই কিশোরীকে তার দোকানে পেছনের শয়নকক্ষে গিয়ে ফোন চার্জ দিতে বলেন। কিশোরী সেখানে বসেই তার ফোন চার্জ দিচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ও স্বাধীন নামের ওই যুবক দোকানে পেছনে যায় এবং অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম তার সঙ্গী স্বাধীনকে পাহারায় রেখে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে কিশোরীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যুবকরা ছুটে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এসময় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান মালিক সুমন ও স্বাধীন পলিয়ে যান। পরে রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শশীভূষণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত রফিকুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ওই কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?