পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে জুলাই আন্দোলনে প্রাণ হারানো বাবার কবর জিয়ারত করে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে আজ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
পরবর্তীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি’র জেষ্ঠ্য যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, “ঘৃণ্য অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে হাঁটবে, আর নির্যাতিতরা কাঁদবে—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
এনসিপি’র আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে। প্রশাসন যদি আসামিদের বিচারের কাঠগড়ায় আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জাতীয় নাগরিক পার্টি রাজপথে অবস্থান নেবে।
আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ দেখতে চাই এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার চাই।”
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ, সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব জাহিদ আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জুলাই আন্দোলনে নিহত বাবার কবর জিয়ারত করে পার্শবর্তী নানা বাড়ীতে ফিরছিল।
নানা বাড়ী থেকে ফেরার পথে একই ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছলে স্থানীয় মৃত মামুন মুন্সীর ছেলে সাকিব মুন্সী(১৯) ও সোহাগ মুন্সীর ছেলে সিফাত মুন্সী(২০) ঐ ছাত্রীর হাত পা চেপে ধরে সড়কের পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যায়।
এরপর তাঁকে ধর্ষন করে এবং ওই দুই যুবক ধর্ষনের ভিডিও তাদের মোবাইলে ধারণ করে মুখ বন্ধ রাখতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বুধবার দুপুর ১২টায় ভিকটিম নিজে দুমকী থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম বলেন,‘”ভিকটিমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?