নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাসিমপুরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে টাকা ও খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে ধর্ষণ করে এক কসাই। সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত অনুমানিক ১২টা থেকে ১টার দিকে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণে অভিযুক্ত খালেক হাসিমপুরবাজারের একজন মাংস ব্যবসায়ী।
কসাই খালেক উপজেলার সাহের খোলা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। এর আগেও খালেক মিয়া বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আলম সরকার ও বাজার পাহারাদার শান্তি ফকিরসহ আরো একাধিক ব্যাক্তি জানান, গত রাতে হঠাৎ কসাই খালেক মিয়ার দোকান ঘর থেকে মেয়েলী কন্ঠ ও অস্বাভাবিক শব্দে মানুষ জড়ো হতে থাকে, পরে খবর পেয়ে আমরাও সেখানে যায়। গিয়ে দেখি কসাই খালেক মিয়ার অনৈতিক কর্ম কান্ড তার দোকানের সাটারের নিচ দিয়ে অনেকেই ভিডিও ধারণ করতেছে।
পরে আমরা খালেক মিয়াকে ডাকলে আরো ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর খালেক মিয়া দোকানের সাটার খুললে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ও কসাই খালেক মিয়াকে আটক করে হাসিমপুর বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। পরবর্তীতে বিষয়টি থানাকেও অবহিত করা হয়।
এবিষয়ে কসাই খালেক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে কোনরকম বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি, তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। কসাই খালেক মিয়ার পরিবারের লোকজন জানান রাতের ঘটনার পর আর বাড়িতে আসেনি।
এ বিষয়ে রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আদিল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?