রাশিমুল হক রিমন, আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরস চলাকালে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোন মামলা হয়নি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপিত মুফতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও তার সহকর্মীদের অব্যহত হুমকিতে ভয়ে মাজার পন্থীরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
দ্রæত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন মাজার ভক্তরা।
জানাগেছে, ইসমাইল শাহ মাজারে হামলা ও অগ্নিকান্ডে তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কোন মামলা হয়নি। এতে ভীত মাজার পন্থীরা। মাজার ভক্তরা ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। তারা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবী করেন মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
গত বরিবার আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ইসমাইল শাহ’র মাজারে ২৮তম বার্ষিক ওরস শুরু হয়।
ওইদিন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।
কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরস বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ হয়। এক পর্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে মাজারে হামলা-ভাংচুর করে ও অগ্নিসংযোগ করেছেন।
এতে ওই ওরসে আসা হাজার হাজার ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নি সংযোগে মাজারের শামিয়ানা ও দুই বৈঠকখানা ঘর পুড়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভক্ত বলেন, আমরা ঘর থেকে ভয়ে বের হতে সাহস পাচ্ছি না। ওমর ফারুক জেহাদীর সমর্থকরা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই আতঙ্কে আছি।
ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাজারে মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তার শতাধিক সমর্থকরা অগ্নি সংযোগ করে। এ ঘটনায় ভক্তরা ভীত। তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
ওমর ফারুক জেহাদী ও তার সহকর্মীরা অব্যহতভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন। প্রশাসনকে দ্রুত এ ঘটনায় আইনী ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভয়ভীতির বিষয়ে অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?